নাবালককে গাছে বেঁধে রাখার অভিযোগ। ছবি: টুইটার
ঈশ্বরের জন্য রাখা বাদাম খেয়ে ফেলায় দলিত বালককে গাছে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠল মন্দিরের পুরোহিতের বিরুদ্ধে। বাচ্চাটিকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে নেটমাধ্যমে। সংশ্লিষ্ট পুরোহিতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ।
শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলায়। সেখানকার একটি জৈন মন্দিরের পুরোহিতের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তের নাম রাকেশ জৈন। সাগর জেলার জৈন সিদ্দায়তন মন্দিরের পুরোহিত তিনি। অভিযোগ, ঈশ্বরের জন্য রেখে দেওয়া বাদাম খেয়ে ফেলেছে, এই সন্দেহে দলিত বালককে দড়ি দিয়ে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছিলেন রাকেশ। বেশ কিছু ক্ষণ বাঁধা অবস্থাতেই ছিল ওই বালক। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গাছে বাঁধা অবস্থায় কান্নাকাটি করছে ছোট্ট ছেলেটি। সামনেই দাঁড়িয়ে আছেন অভিযুক্ত পুরোহিত।
পুলিশ সূত্রে খবর, বালকটির বয়স মাত্র ১১ বছর। সে যাতে পালিয়ে যেতে না পারে, তাই তাকে ও ভাবে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছিলেন অভিযুক্ত। তাকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে বাচ্চাটির দেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওই বালকের পরিবারের তরফে মন্দিরের বাদাম খেয়ে ফেলার অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে মন্দিরের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। তাকে ভিতরে ঢুকতে দেখেই খেপে যান পুরোহিত। মারধর শুরু করেন। তার পর দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন গাছে। বাচ্চাটির বাবা ওই পুরোহিতের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তথাকথিত নিচু জাতের বলেই ছেলের সঙ্গে এই আচরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। রাকেশ জৈনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।