নিগ্রহের শিকার দীপক বুন্দেলে। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
এক আইনজীবীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে পুলিশের যুক্তি, ওই আইনজীবীকে মুসলিম ভেবে মারধর করেছিলেন পুলিশকর্মীরা। এর জেরে পুলিশের সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার।
মধ্যপ্রদেশের বেতুলের বাসিন্দা আইনজীবী দীপক বুন্দেলে গত ২৩ মার্চ বিকেলে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় তাঁকে আটকান পুলিশকর্মীরা। দেশে তখন লকডাউন শুরু হয়নি, তা সত্ত্বেও বেতুলে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছিল। দীপকের কথায়, ‘‘শরীর ভাল ছিল না বলে হাসপাতালে যাচ্ছিলাম। বেরিয়েছি কেন জানতে চেয়ে পথে পুলিশ আটকাল। বললাম, যদি বেআইনি কিছু করি, আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিন। শুনেই মেজাজ হারান পুলিশকর্মীরা। এক জন আমাকে সপাটে চড় মারেন। এর পরে অন্য পুলিশকর্মীরা এসে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করলেন।’’
পরের দিনই গোটা ঘটনাটি জানিয়ে দীপক চিঠি দেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ প্রশাসনের বেশ কয়েক জন আধিকারিককে। এর পরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। তাঁকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে। দীপক বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, এক জন হিন্দু ভাইকে মারধর করার জন্য ওই পুলিশকর্মীরা সত্যিই লজ্জিত। ওঁরা আপনাকে (দীপক) মুসলিম ভেবে মারধর করেছে। প্রথমে যে আপনাকে মেরেছিলেন, তিনি কট্টর হিন্দু। সাম্প্রদায়িক হিংসার সময় গ্রেফতার হওয়া মুসলিমদের ওই পুলিশকর্মী সব সময় নির্মম ভাবে পেটান।’’ দীপক জানিয়েছেন, তিনি কোনও মতেই অভিযোগ প্রত্যাহার করবেন না।