পুলিশ ইতিমধ্যেই প্রৌঢ়ের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। প্রতীকী ছবি।
একই গ্রামের মেয়েকে বিয়ে করেছে পুত্র। শাস্তি দিতে বাবাকে চার দিন ধরে চেন দিয়ে গাছে বেঁধে মারধর। পরে প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বাড়ি থেকে। মধ্যপ্রদেশের ছাতারপুরের পঞ্চমপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। নিহতের নাম উধা আহিরওয়ার।
পুলিশ জানিয়েছে, উধার ছেলে শঙ্কর এবং পঞ্চমপুর গ্রামেরই এক যুবতী রাজস্থানে দিনমজুর হিসাবে কাজ করেন। সেখানেই তাঁরা বিয়ে করেন। উভয় পরিবারই একই বর্ণের হলেও বিয়ের খবর শুনে যুবতীর বাবা রেগে যান। অভিযোগ, এর পরই সদলবলে শঙ্করের বাড়িতে চড়াও হন যুবতীর পরিবারের লোক জন। উধাকে নিয়ে গিয়ে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে জনসমক্ষে বেধড়ক মারধরের অভিযোগও ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার দু’দিনের মাথায় ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় উধার দেহ।
নিহতের স্ত্রী সাবিত্রীর অভিযোগ, তাঁদের পুত্রবধূর পরিবারের সদস্যরা জোর করে বাড়িতে ঢুকে স্বামীকে গাছে বেঁধে মারধর করে এবং পরে দেহ ঝুলিয়ে দেন। যদিও পুলিশের দাবি, জনসমক্ষে লাঞ্ছনার কারণে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং অন্যায়ভাবে মারধরের অভিযোগ এনে তদন্ত শুরু করেছে।