এই সেই তাজমহল যেটা আনন্দ চোকসে তাঁর স্ত্রীকে উপহার দিয়েছেন।
স্ত্রী বা প্রেমিকার প্রতি নানা ভাবে ভালবাসা ব্যক্ত করার কথা শোনা যায়। ভালবাসা জাহির করতে স্ত্রী বা প্রেমিকাকে কখনও ফুল, কখনও চকোলেট, কখনও বা দামি পোশাক বা সুগন্ধি দিয়ে থাকেন স্বামী বা প্রেমিক। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা জানাতে যা করলেন, তা অবাক করা কাণ্ড।
মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরের বাসিন্দা আনন্দ চোকসে। স্ত্রীর প্রতি তাঁর ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে উপহার দিলেন 'তাজমহল'। দোকান থেকে পৃথিবী-বিখ্যাত সৌধের কোনও প্রতিরূপ কিনে এনে দিয়েছেন, এমনটা ভাবলে ভুল হবে। হুবহু তাজমহলের মতো একটি বাড়ি তৈরি করেছেন আনন্দ এবং সেটি উপহার দিয়েছেন স্ত্রীকে। মুঘল সম্রাট শাহজাহান যেমন পত্নী মমতাজের প্রতি ভালবাসা ব্যক্ত করতে তাঁর স্মৃতিতে তাজমহল বানিয়েছিলেন, সেই পথকেই অনুসরণ করলেন আনন্দ। তবে স্ত্রীর স্মৃতিতে নয়, স্ত্রীর প্রতি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবেই তাজমহলের এক ছোট সংস্করণ বানিয়েছেন তিনি।
আনন্দ জানান, এই বুরহানপুরেই মৃত্যু হয়েছিল মমতাজের। কিন্তু এই শহরে তাজমহল না বানিয়ে আগরায় কেন সেই স্মৃতিসৌধ বানাতে গেলেন শাহজাহান, এই বিষয়টি তাঁকে খুব অবাক করত। তাই তিনি ঠিক করেন তাজমহলের প্রতিরূপ বানাবেন বুরহানপুরে। নিজের বাড়িকে তাজমহলের আদলে তৈরি করে তা স্ত্রীকে উপহার দিয়েছেন আনন্দ।
বাড়িটি তৈরি করতে তিন বছর সময় লেগেছে। চারটি শয্যাকক্ষ সহ বাড়িটিতে আধুনিক উপকরণের কোনও খামতি নেই। বাড়িটি তৈরি করতে ইনদওর এবং পশ্চিবঙ্গের দক্ষ শিল্পীদের সহায়তা নিয়েছেন আনন্দ। তবে বাড়িটি তৈরি করতে কত খরচ পড়েছে, তা খোলসা করেননি তিনি।