প্রতীকী চিত্র।
বাড়ির কাছ থেকে ছ’বছরের এক বালিকাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও চোখ খুঁচিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। যার জেরে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার চোখ। লকডাউনের মধ্যেই এই মর্মান্তিক ঘটনাটি বৃহস্পতিবার ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের দামো জেলার বাঁশিপুরা গ্রামে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বাচ্চাটি। সন্দেহভাজনদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের তরফে।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাছেই বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল বাচ্চা মেয়েটি। সেখান থেকেই এক ব্যক্তি তাকে তুলে নিয়ে যায়। তখন থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। পরের দিন গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে হাত বাঁধা ও অজ্ঞান অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে সিনিয়র পুলিশ অফিসার হেমন্ত সিংহ চৌহ্বান বলেছেন, ‘‘বাচ্চাটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাঁর চোখে প্রচুর ক্ষত ছিল। আমরা সন্দেহভাজনদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছি। অপরাধের তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।’’ অভিযুক্তের খোঁজে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ওই মেয়েটির পরিবারের লোকজন ও পুলিশের একটি দল জবলপুর গিয়েছে। সেখানকার হাসপাতালেই বাচ্চাটির চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন: ১৩ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ছয়
লকডাউনের আবহে এই নৃশংস ঘটনার কথা চাউর হতেই স্তম্ভিত সেখানকার বাসিন্দারা। ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহ্বান। ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাচ্চা মেয়েটির চিকিৎসার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ ঘটনার নিন্দা করছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথও। এই নিয়ে লকডাউনের মধ্যে তিনটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর আগুন থেকে গরু-মোষদের বাঁচিয়ে প্রশংসিত দুই কনস্টেবল