—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জন্মের দু’দিন পর নিজের মেয়ের শিশুকন্যাকে কুপিয়ে খুন করেছিলেন। প্রমাণ লোপাটের জন্য তা ফেলে আসেন বাড়ি থেকে দূরে একটি মন্দির চত্বরে। ঘটনার প্রায় তিন বছর পর দোষী সাব্যস্ত দম্পতিকে শনিবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল মধ্যপ্রদেশের এক জেলা আদালত।
এই মামলার সরকারি কৌঁসুলি সুধাবিজয় সিংহ ভাদৌরিয়া সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, যাবজ্জীবন কারাবাসের পাশাপাশি দু’জনকেই পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন ই অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক অতুল সাক্সেনা।
নাতনিকে খুনের দায়ে শুক্রবার জেলা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন পুরণ সিংহ আহিরওয়ার এবং তাঁর স্ত্রী বিদ্যা রাই আহিরওয়ার। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ১২০বি ও ২০১ ধারায় দু’জনকেই যথাক্রমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, পাঁচ বছরের সশ্রম কারাবাস এবং হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর অযোধ্যানগর থানা এলাকায় ওই শিশুকন্যাটির ক্ষতবিক্ষত দেহ দেখতে পান জনৈক গৌরব কুরেকর নামে এক ব্যক্তি। দেহটি শালে মুড়ে সেক্টর-জি এলাকার রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি শিবমন্দিরে চাতালে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি। খবর পেয়ে ওই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান অযোধ্যানগর থানার আধিকারিকেরা। সরকারি কৌঁসুলি বলেন, ‘‘জন্মের দু’দিন পরেই শিশুটিকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। দেহ উদ্ধারের আগের রাতে শিশুটিকে খুন করেছিলেন ওই দম্পতি।’’ যদিও খুনের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা জানাননি সরকারি কৌঁসুলি।