প্রতীকী চিত্র।
মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের রাস্তায় সম্প্রতি গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই পুলিশ অফিসার। সেই সময় ডেপুটি পুলিশ সুপার রত্নেশ সিংহ তোমর এবং তাঁর সহকর্মী বিজয় সিংহ বাহাদুর এক ব্যক্তিকে খাবার খুঁজতে দেখেন। তাঁর অবিন্যস্ত চুল, পরনের কাপড়ও নোংরা। তাঁকে দেখে ওই পুলিশকর্মীরা ভিক্ষুক ভেবেছিলেন। কিন্তু সেই ব্যক্তি আচমকা ‘রত্নেশ’ বলে ডাকায় চমকে যান দুই পুলিশকর্মী। তার পর জানতে পারেন ওই ভিক্ষুক আসলে তাঁদের প্রাক্তন সহকর্মী।
রত্নেশ এক সংবাদমাধ্যমকে সম্প্রতি বলেছেন, “আমার নাম ধরে ডাকায় চমকে গিয়েছিলাম দু’জনেই। তার পর বুঝতে পারি উনি আমার সহকর্মী ছিলেন। ১৫ ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।” চিনতে পেরে ঠান্ডায় কাঁপতে থাকা প্রাক্তন সহকর্মীকে জ্যাকেট দেন ওই দুই অফিসার। খাবারের ব্যবস্থাও করে দেন। তার পর তোমর এবং বাহাদুর তাঁকে এক অসরকারি সংস্থা পরিচালিত আশ্রয় কেন্দ্রে রাখার ব্যবস্থা করেন।
তোমর জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির নাম মণীশ মিশ্র। ২০০৫ সালে তিনি দাতিয়ার ইনস্পেক্টর ছিলেন। তখন থেকেই তিনি নিখোঁজ। দাতিয়াতেই তোমর কাজ করতেন মণীশের সঙ্গে। এখন তোমর গ্বালিয়রের ডেপুটি পুলিশ সুপার। তোমর বলেছেন, “গত ১৫ বছর ধরে আমরা ওর কোনও খোঁজ পাইনি।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, মণীশ খুব ভাল অ্যাথলিট এবং শ্যুটার ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তাঁরা একসঙ্গেই পুলিশে কাজে যোগ দেন। তিনি বলেছেন, ‘‘কাজে যোগ দেওয়ার কিছু বছর পরেই মণীশের মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তখন চিকিৎসাও করানো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান তিনি।’’
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র-শিক্ষা! বিহারের গদিতে ফের নীতীশ কুমারই
আরও পড়ুন: ৭৫০টি অতিরিক্ত আইসিইউ শয্যা দিল্লিকে, জানাল কেন্দ্র