গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
মধ্যপ্রদেশের ২৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই কার্যত ছিল বিহারের মতো পূর্ণাঙ্গ ভোটের মেজাজ। ভোটের ফলে সামান্য হেরফেরেই পাল্টে যেতে পারত যে কোনও পক্ষের ভাগ্য। কিন্তু ভোটগণনার প্রাথমিক প্রবণতায় স্পষ্ট, লিটমাস টেস্টে সসম্মানে উতরে যাচ্ছেন শিবরাজ সিংহ চৌহান। বিপদ কেটে যাচ্ছে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি পাকাপোক্ত হচ্ছে শিবরাজের।
নির্দলদের সমর্থন ধরলে পাঁচটি আসনে জিতলেই টিকে যেত শিবরাজ সিংহের নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। উল্টো দিকে কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল সমাজবাদী পার্টির ২ এবং বহুজন সমাজ পার্টির ১ বিধায়ক। তাঁরাও অবশ্য উপনির্বাচনের আগে আলাদা হয়ে যান। ফলে ওই ৩ জন বাদ দিলে কংগ্রেসের দরকার ছিল ২৯ আসন, যা সংখ্যার হিসেবেই ছিল অসম্ভব। তবে হাল ছাড়েননি কমল নাথ। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোটের ফলের প্রবণতায় বিজেপি ২০ আসনে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস প্রার্থীরা এগিয়ে ৭ আসনে। একটি আসনে অন্যান্য দলের প্রার্থী এগিয়ে। এই প্রবণতায় বিরাট কোনও পরিবর্তন না হলে কিন্তু কমল নাথের মুখ্যমন্ত্রিত্বে ফেরা যেমন কঠিন, তেমনই শিবরাজের সামনে রাস্তা পরিষ্কার।
গত মার্চে মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তাঁর অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তার জেরে মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের ১৫ মাসের সরকারের পতন হয়। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন শিবরাজ। এ ছাড়া এক বিধায়কের মৃত্যু হয় এবং পদত্যাগ করেন কংগ্রেসের আরও এক বিধায়ক। সব মিলিয়ে ২৮টি আসনে উপনির্বাচন আসন্ন হয়ে পড়ে। করোনার মধ্যেও সেই উপিনির্বাচনের প্রাথমিক ফলে ইঙ্গিত, আরও প্রায় ৩ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে থাকতে চলেছেন শিবরাজ। উল্টো দিকে বিরোধী আসনেই বসতে হচ্ছে কমল নাথকে।
আরও পড়ুন: বিহারে একক বৃহত্তম দল হতে চলেছে বিজেপি, নীতীশের দল তিন নম্বরে
আরও পড়ুন: রিমসের বাংলোয় টেনশনে অসুস্থ লালু