Satyendar Jain

বিপদে জেলবন্দি সত্যেন্দ্র, নতুন মামলায় নাম জড়াল আপ নেতার! তদন্তের নির্দেশ লেফটেন্যান্ট গর্ভনরের

দিল্লির লেফটেন্যান্ট গর্ভনরের নির্দেশ, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের তদন্ত করবেন তদন্তকারী অফিসারেরা। অভিযোগ, ভারত ইলেকট্রলিক্স লিমিটেড (বিইএল)-এর থেকে সাত কোটি টাকা নিয়েছিলেন সত্যেন্দ্র।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ১৯:২৬
Share:

আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈন। — ফাইল চিত্র।

বিপদ বাড়ল জেলবন্দি আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈনের। দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাত কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিলেন লেফটেন্যান্ট গর্ভনর ভিকে সাক্সেনা। দিল্লি পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখাকে (এসিবি) তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

দিল্লির লেফটেন্যান্ট গর্ভনরের নির্দেশ, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে তদন্ত করবেন এসিবি অফিসারেরা। অভিযোগ, ভারত ইলেকট্রলিক্স লিমিটেড (বিইএল)-এর থেকে সাত কোটি টাকা নিয়েছিলেন সত্যেন্দ্র। মূলত, বিইএল-এর উপর ১৬ কোটি টাকা জরিমানা ধার্য ছিল। জরিমানা মকুব করার জন্য সত্যেন্দ্রের দ্বারস্থ হন বিইএল কর্তারা। সেই জরিমানা মকুব করার আশ্বাস দিয়ে বিইএল-এর কাছ থেকে ঘুষ চান সত্যেন্দ্র।

লেফটেন্যান্ট গর্ভনরের কার্যালয়ের তরফে বিবৃতি জারি করে এই ঘটনার তদন্তের কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, বিইএল-এর এক কর্মচারী ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সত্যেন্দ্রের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে শোরগোল পড়ে যায় রাজধানীর রাজনীতিতে। ঘটনার প্রেক্ষিতে এসিবির হাতে বেশ কিছু তথ্য রয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, এসিবি অভিযোগকারীর বয়ান রেকর্ড করেছে। সেই বয়ান এবং অন্যান্য সংগৃহীত প্রমাণের ভিত্তিতে আপ নেতার বিরুদ্ধে একটি প্রাথমিক মামলা তৈরি করেছে ভিজিল্যান্স অধিদফতর। কিন্তু, সত্যেন্দ্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে আপ। দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেত্রী অতিশী মারলেনার দাবি, ‘‘দিল্লি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য বিজেপি এই সব করছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গত ১০ বছরে আপ নেতাদের বিরুদ্ধে ২০০টির বেশি মামলা দায়ের হয়েছে।’’

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মে মাসে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সত্যেন্দ্র। অভিযোগ, বেআইনি টাকায় জমি কিনেছিলেন তিনি। সত্যেন্দ্র সেই অভিযোগ মানেননি। জেলে যাওয়ার পর থেকে বার বার সত্যেন্দ্র দাবি করেছেন, তিনি অসুস্থ। তার পর দেখা যায়, জেলের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জ্ঞান হারিয়ে তিহাড় জেলের শৌচালয়ে পড়ে যান দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্য এবং কারামন্ত্রী। তার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেন সত্যেন্দ্র। শীর্ষ আদালত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। পরে তাঁকে আবার জেলে ফেরত যেতে হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement