২৭ কংগ্রেস সাংসদ ৫ দিন সাসপেন্ড, উত্তাল লোকসভা

২৫ জন কংগ্রেস সাংসদকে ৫ দিনের জন্য সাসপেন্ড করলেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। এত জন সাংসদকে একসঙ্গে সাসপেন্ড করার নজির সংসদের ইতিহাসে খুব কমই আছে। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন এ রাজ্যের দুই সাংসদ। প্রথম জন রাষ্ট্রপতি পুত্র অভিজিত্ মুখোপাধ্যায় এবং দ্বিতীয় জন আবু হাসেম খান চৌধুরী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৫ ১৬:৪৩
Share:

উত্তাল সংসদ। ছবি: পিটিআই।

২৭ জন কংগ্রেস সাংসদকে ৫ দিনের জন্য সাসপেন্ড করলেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। এত জন সাংসদকে একসঙ্গে সাসপেন্ড করার নজির সংসদের ইতিহাসে খুব কমই আছে। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন এ রাজ্যের দুই সাংসদ। প্রথম জন রাষ্ট্রপতি পুত্র অভিজিত্ মুখোপাধ্যায় এবং দ্বিতীয় জন আবু হাসেম খান চৌধুরী। স্পিকারের এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কিছুটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের পাশে দাঁড়িয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বলেন, “গণতন্ত্রকে বাঁচানোর স্বার্থেই সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের পাশে দাঁড়িয়েছে দল।” তৃণমূল ঘোষণা করেছে আগামী পাঁচ দিন তারা লোকসভা বয়কট করবে।

Advertisement

এই ঘটনায় দুই চির বিবদমান দল সিপিএম-তৃণমূলকে পাশে পেয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধী বলেন, “এটা গণতন্ত্রের কালো দিন।” কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘‘প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ নতুন ঘটনা নয়, নৈতিকতা নিয়ে দ্বিচারিতা করছে বিজেপি। সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা নেই, বিরোধীদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।’’ অন্য দিকে, সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা বিরোধী শবন্য সংসদ চালানোর কৌশল বিজেপি-র।’’

ফলে ব্যপম-ললিত কাণ্ড নিয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল এ দিনের পর তা আরও জটিল হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

এর আগে ১৯৮৯-এ ঠক্কর কমিশনের রিপোর্ট পেশ নিয়ে ৫৮ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। পরের দিন আরও ৫জনকে সাসপেন্ড করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement