Love Story

সীমার মতো বাংলাদেশি জুলির প্রেমে দেশ ছাড়েন উত্তরপ্রদেশের অজয়, ছেলের রক্তমাখা ছবি পেলেন মা

অজয়ের মায়ের দাবি, ভিসা শেষ হয়ে যাচ্ছিল বলে জুলি কিছু দিনের জন্য বাংলাদেশ যাচ্ছেন বলে জানান। যাওয়ার সময় বলে যান দ্রুত ফিরে আসবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

লখনউ শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৩ ১৭:১৯
Share:

জুলি এবং অজয়। ছবি: সংগৃহীত।

পাকিস্তানের সীমা হায়দর এবং উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার সচিন মীণার প্রেমকাহিনির গল্প এখন দেশের অন্যতম চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে। সীমা কে, কেন এসেছেন, তা নিয়ে এখন বিস্তর তদন্ত চলছে। সীমা প্রথম নন, তার আগেও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে এই উত্তরপ্রদেশেই। সীমা-সচিনকে নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে, ঠিক সেই সময়েই জুলি-অজয়ের প্রেমকাহিনি প্রকাশ্যে এসেছে।

Advertisement

সীমা হায়দর পাকিস্তান থেকে এসেছেন। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে প্রেমের টানে এই উত্তরপ্রদেশে এসেছিলেন জুলি। সঙ্গে এনেছিলেন তাঁর ১১ বছরের কন্যাকেও। রাজ্যের মোরাদাবাদের বাসিন্দা অজয়ের সঙ্গে ফোনে পরিচয় হয় জুলির। তার পর প্রেম। আর সেই প্রেমের টানে এক দিন সোজা অজয়ের কাছে এসে হাজির হন। অজয়ের জন্য তিনি নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে হিন্দু ধর্ম নেন। তার পর অজয়কে বিয়েও করেন।

অজয়ের মায়ের দাবি, ভিসা শেষ হয়ে যাচ্ছিল বলে জুলি কিছু দিনের জন্য বাংলাদেশ যাচ্ছেন বলে জানান। যাওয়ার সময় বলে যান দ্রুত ফিরে আসবেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে আসার কথা জানান অজয়কে। জুলির কথামতো তাঁর সঙ্গে সীমান্তে যান। এক এজেন্টের মাধ্যমে দু’জনেই বাংলাদেশে ঢোকেন। তার পর থেকে আর কোনও হদিস পাওয়া যায়নি। অজয়ের মায়ের আরও দাবি, এক বছর আগে জুলি এ ভাবে ভিসার কথা বলে বাংলাদেশ গিয়েছিলেন। ফিরেও আসেন। কিন্তু এ বার আর ফেরেননি। অজয়ের মা মোরাদাবাদ পুলিশকে জানান, দিন কয়েক আগে অজয় তাঁকে ফোন করে জানান, ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফিরে আসবেন। তার পর দিন পাঁচেক আগে আবার ফোন আসে অজয়ের। তখন তাঁর কাছে টাকা চান। তার পর ফোন কেটে যায়। এর পরই অজয়ের মায়ের হোয়াট্‌সঅ্যাপে অজয়ের রক্তমাখা একটি ছবি আসে। আর সেই ছবি দেখেই ছেলের চিন্তায় দিশাহারা তিনি। মোরাদাবাদ পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে অজয়কে উদ্ধারের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

অভিযোগ পেয়েই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। ছবি আদৌ সত্যি কি না, কোথা থেকে ছবিটি পাঠানো হয়েছে, তা জানার জন্য সাইবার শাখার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জুলি সম্পর্কেও খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে পুলিশ। বিশেষ করে সীমা হায়দরের ঘটনা নিয়ে যখন তোলপাড় হচ্ছে, নানা রকম সন্দেহ বাড়ছে, জুলির বিষয়েও তাই সব রকম তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement