‘লভ জিহাদ’ রুখতে কড়া শাস্তির প্রস্তাব করল গুজরাতের বিজয় রূপাণী সরকার। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্যের পর এ বার ‘লভ জিহাদ’ রুখতে কড়া শাস্তির প্রস্তাব করল গুজরাতও। ধর্মান্তরণ বিরোধী আইনের মাধ্যমে অপরাধীর জরিমানা-সহ ৫ থেকে ৭ বছরের কারাবাসের শাস্তির প্রস্তাব করেছে গুজরাতের বিজেপি সরকার। বিয়ের নামে জোর করে ধর্মান্তরণ রুখতে চলতি বাজেট অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত বিল নিয়ে আলোচনা শুরু করবে বলে জানিয়েছে বিজয় রূপাণী সরকার।
গুজরাত প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্যে ‘লভ জিহাদ’ আটকাতে মঙ্গলবার ‘গুজরাত ফ্রিডম অব রিলিজিয়ন অ্যাক্ট ২০০৩’-এ সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। ‘ধর্ম সতন্ত্র বিল ২০২১’ নামের ওই সংশোধনীতে বলা হয়েছে যে সুখী জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বা আধ্যাত্মিক উন্নতির লোভ দেখিয়ে অথবা পরিচয় গোপন রাখতে জোর করে কোনও কম বয়সি মেয়ের ধর্ম পরিবর্তন করানো হলে অপরাধীর ৫ বছরের জেল-সহ ২ লক্ষ টাকা জরিমানা হবে। একই কারণে নাবালিকাদের ধর্মান্তরণের ক্ষেত্রে শাস্তি বেড়ে ৭ বছর এবং ৩ লক্ষ টাকার জরিমানার মুখে পড়তে হবে দোষীকে। অন্য দিকে, তফসিলি জাতি বা উপজাতির মহিলাদের জোর করে ধর্মান্তরণ করানো হলে দোষীর ৭ বছরের কারাবাসের শাস্তির প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি দীর্ঘ দিন ধরেই ‘লভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে সরব। কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের একাংশের দাবি, দেশের বহু রাজ্যেই ‘লভ জিহাদ’-এর মাধ্যমে জোর করে হিন্দু ধর্মের মেয়েদের ভিন্ ধর্মে বিয়ে অথবা বিয়ের আগে বা পরে ধর্মান্তরণ করানোর মতো ঘটনা ঘটছে। ‘লভ জিহাদ’ রুখতে কড়া শাস্তির পথেই হাঁটতে চায় গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ বা উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যে ধর্মান্তরণ বিরোধী আইন পাশ করেছে। এ বার বিজয় রূপাণী সরকারও সেই পথেই হাঁটতে চলেছে।