জায়গাটি ঘুরে দেখছিলেন শগুন এবং তাঁর স্বামী। শগুনের স্বামী বলেন, ‘ওই স্মৃতি স্মারকে ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা এবং মেজর অজয় সিংহ জায়রোতিয়ার ছবি তুলছিলাম। আমার থেকে কিছুটা দূরেই দাঁড়িয়ে স্মৃতি স্মারকে চোখ বোলাচ্ছিল শগুন।’
দাদার নাম লেখা স্মৃতি স্মারকের সামনে বোনের আবেগঘন সেই মুহূর্ত। ছবি সৌজন্য ইনস্টাগ্রাম।
স্ত্রীকে স্বামী বলেছিলেন, দিল্লি যখন এসেছি এক বার জাতীয় যুদ্ধ স্মারকটা ঘুরেই যাব। পরিকল্পনা মতো কনট প্লেস ঘোরার পর স্বামীর সঙ্গে জাতীয় যুদ্ধ স্মারক দেখতে যান শগুন সাম্বাল। কিন্তু তার পরের মুহূর্তের জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না তিনি।
জায়গাটি ঘুরে দেখছিলেন শগুন এবং তাঁর স্বামী। শগুনের স্বামী বলেন, ‘ওই স্মৃতি স্মারকে ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা এবং মেজর অজয় সিংহ জায়রোতিয়ার ছবি তুলছিলাম। আমার থেকে কিছুটা দূরেই দাঁড়িয়ে স্মৃতি স্মারকে চোখ বোলাচ্ছিল শগুন। হঠাৎই ও চিৎকার করে আমাকে ডাকতে শুরু করে। কী হয়েছে জানতে কাছে যেতেই দেখি শগুনের চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে।’
এর পরই শগুন তাঁর স্বামীকে আঙুল দিয়ে স্মৃতি স্মারকে দেখান। বলেন, ‘দেখেছ, ওখানে দাদার নাম লেখা রয়েছে!’ শগুনের স্বামী চোখ ফেরাতেই দেখেন ওই স্মৃতি স্মারকে স্বর্ণালী অক্ষরে লেখা রয়েছে ‘ক্যাপ্টেন কেডি সাম্বাল’। জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতি স্মারকে দাদার নাম আবিষ্কার করে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি শগুন। তিনি এবং তাঁর বাড়ির লোকেরা জানতেনই না যে, ওই স্মৃতি স্মারকে সাম্বাল পরিবারের ছেলের নাম লেখা রয়েছে। স্ত্রীর সেই আবেগঘন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন শগুনের স্বামী। নেটমাধ্যমে যা এখন ভাইরাল। জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বার বাসিন্দা ছিলেন ক্যাপ্টেন কেডি সাম্বাল। ১৯৩ ফিল্ড রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন।
দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া সেনাদের সম্মান জানাতে মধ্য দিল্লিতে রয়েছে জাতীয় যুদ্ধ স্মারক। ওই স্মৃতি স্মারকে শহিদ সেনাদের নাম লেখা রয়েছে।