অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ছবি: পিটিআই।
গত বাদল অধিবেশনেও ‘অসংসদীয় শব্দ’ ব্যবহার করার জন্য সাসপেন্ড হয়েছিলেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সোমবার শীতকালীন অধিবেশনেও সাসপেন্ড করা হল অধীরকে। সঙ্গে ৩০ জনের বেশি বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তৃতার মাঝেই নতুন সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সরব হন বিরোধী সাংসদেরা। তুমুল চিৎকার শুরু হয় সংসদ কক্ষে। প্রথমে দুপুর ২টো ৪৫ মিনিট, পরে তিনটে পর্যন্ত সভার কাজ মুলতুবি করে দেন স্পিকার। তার পরেও পরিস্থিতি তপ্ত হওয়ায় অধীর-সহ ৩০ জনের বেশি সাংসদকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। সাম্প্রতিক সময়ে একসঙ্গে এত জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার ঘটনা ঘটেনি। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে শীতকালীন অধিবেশন। তত দিন এই সাংসদেরা অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না।
সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের তালিকায় রয়েছেন বাংলার অনেক তৃণমূল সাংসদও। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুনীল মণ্ডল, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল, অসিত মাল, শতাব্দী রায়কে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার। এ ছাড়া এই তালিকায় রয়েছেন ডিএমকের তিন সাংসদ টিআর বালু, এ রাজা এবং দয়ানিধি মারান। এই অধিবেশনে লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৪৬ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল।
লোকসভা থেকে নিলম্বিত হওয়ার পর অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘বিজেপির সংখ্যাধিক্য রয়েছে। তাই দিয়ে সংসদে পেশিশক্তি দেখাচ্ছে। সংসদকে বিজেপি ও আরএসএসের কার্যালয়ে পরিণত করতে চাইছে।’’ লোকসভায় কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, ‘‘সংসদের নিরাপত্তা যে ভাবে ভেঙে পড়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করা হয়েছিল। তাঁরা বাইরে অনেক কথা বললেও সংসদে কিছু বলছেন না। সেই প্রশ্ন তুললেই বিরোধীদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে।’’ উল্লেখ্য, দিল্লিতে এই মুহূর্তে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়ার’ বৈঠক রয়েছে। তার আগের দিনই এই ঘটনা বিরোধী শিবিরকে আরও এককাট্টা করবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের অনেকের।