Forest (Conservation) Amendment Bill-2023

নতুন বন সংরক্ষণ বিল পাশ লোকসভায়! বিরোধীদের অভিযোগ, বিপন্ন হবে অরণ্যবাসীদের অধিকার

চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক এবং ইকো-ট্যুরিজ়মের অছিলায় শিল্পগোষ্ঠীগুলি সহজেই সরকারি ব্যবস্থপনা কাজে লাগিয়ে অরণ্যবাসী জনজাতিদের উৎখাত করতে পারবে বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩ ১৮:১৮
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

মণিপুরে ধারাবাহিক হিংসা এবং নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সংসদে টানা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিরোধীরা। তারই মধ্যে বাদল অধিবেশনের পঞ্চম দিনে বিতর্কিত বন সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল লোকসভায় পাশ করিয়ে নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ, ‘বিজেপি-ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতিদের হাজার হাজার বর্গ কিলোমিটার অরণ্যভূমি তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই নজিরবিহীন দ্রুততায় নয়া বন সংরক্ষণ আইন কার্যকর করতে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্র।

Advertisement

কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বুধবার লোকসভায় বন সংরক্ষণ সংশোধনী বিল পেশ করেন। কোনও আলোচনা ছাড়াই তা পাশ হয়ে যায়। গত এপ্রিলে বাজেট অধিবেশনে সরকার পক্ষের তরফে বিলটি পেশের পরে তা পাঠানো হয়েছিল সংসদের সিলেক্ট কমিটিতে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে বিল পাঠানো হয়নি। স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, ইউপিএ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ সে সময় বলেছিলেন, ‘‘আমি স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান বলেই ওই কমিটিতে বিল পাঠানো হয়নি।’’

বিজেপির ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিদের সুবিধা পাইয়ে দিতে ওই বিলের খসড়া চূড়ান্ত করা হবে বলে সে সময়ই অভিযোগ করেছিলেন রমেশ। নয়া বিলে যে ভাবে সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত বনভূমি ধ্বংসের বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে, তাতে জনজাতিদের স্বার্থে ইউপিএ আমলে চালু করা ‘অরণ্যের অধিকার আইন’ লঙ্ঘিত হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। অবাধে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভাগ বসানোর পাশাপাশি চিড়িয়াখানা, সাফারি পার্ক এবং ইকো-ট্যুরিজ়মের অছিলায় শিল্পগোষ্ঠীগুলি সহজেই সরকারি ব্যবস্থাপনা কাজে লাগিয়ে অরণ্যবাসী জনজাতিদের উৎখাত করতে পারবে বলে অভিযোগ। যদিও ভূপেন্দ্র বলেন, ‘‘রেললাইন, সড়কের মতো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্যই অরণ্যভূমির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছে বিলের খসড়ায়।’’

Advertisement

১৯৮০ সালের বন সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, অরণ্য এলাকায় কোনও অন্য ধরনের কাজ করা যাবে না। তার জন্য মন্ত্রকের অনুমতি লাগবে। সেই আইনে সংশোধন করে ‘জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত প্রকল্প ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রকল্প’-এর ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে অরণ্যের অধিকার আইন নির্বিচারে লঙ্ঘনের পথ তৈরি হবে বলে অভিযোগ। জঙ্গলে যাঁদের অধিকার, সেই আদিবাসীদের গৃহহীন হওয়ার সম্ভবনা বাড়বে। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অরণ্যভূমিতে আদানিদের বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে অতীতে প্রবল বিতর্ক হয়েছে। এ বার অনেক সহজে রূপায়ণ করা যাবে এমন প্রকল্প।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement