গুজরাতে কি কালো টাকা সাদা অবাধেই! 

গুজরাতের ফার্ম হাউসের দেওয়ালে ঝুলছে নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহের ছবি। আর সেখানেই কালো টাকাকে সাদা করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯ ০৩:৪৯
Share:

সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধীরা। ছবি: পিটিআই।

থরে থরে সাজানো নতুন নোট।

Advertisement

অমিত শাহের ছবি দেখিয়ে বিজেপির এক কর্মী বললেন, ‘‘এঁর হাত যদি মাথায় থাকে, তা হলে কোনও পুলিশ আটকাতে পারবে না। আপনি ২৫ (কোটি টাকা) করে একবারে নিয়ে আসুন।’’

গুজরাতের ফার্ম হাউসের দেওয়ালে ঝুলছে নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহের ছবি। আর সেখানেই কালো টাকাকে সাদা করা হচ্ছে। ছবিটা নোটবন্দির পরে পুরনো টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরে বলেই দাবি। ১৮ মিনিটের ভিডিয়ো ফুটেজ দেখিয়ে আজ এমনই অভিযোগ করলেন বিরোধী নেতারা। যে মঞ্চে ছিলেন কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদ, মল্লিকার্জুন খড়্গে, আহমেদ পটেল, আরজেডির মনোজ ঝা। এ ছাড়া শরদ যাদব, হেমন্ত সরেন, ন্যাশনাল কনফারেন্স, তেলুগু দেশমের নেতারা।

Advertisement

২০১৬-র ৮ নভেম্বর নোটবন্দির ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরনো টাকা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার ছাড় ছিল। কিন্তু সিব্বলদের অভিযোগ, ২০১৭-র জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে এই স্টিং অপারেশন করা হয়েছে। যেখানে দেদার কালো টাকা সাদা হয়েছে। কিন্তু এই ভিডিয়োর সত্যতা কতটা, তা তাল ঠুকে বলতে পারেননি সিব্বলরা। তাঁদের শুধু বক্তব্য, এই

নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। তবে সেটি পরের সরকার এসেই করবে। আপাতত জনতাই এই ভিডিয়োর বিচার করবে।

অরুণ জেটলি পাল্টা কপিল সিব্বলকে বিঁধে বলেছেন, ‘‘এর আগে ইয়েদুরাপ্পার ডায়েরি নিয়েও ভুয়ো অভিযোগ করা হয়েছিল। এ বারেও ভুয়ো স্টিং। যখন কোনও আসল বিষয় থাকে না, তখনই মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়।’’ এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার কথা ভাবছে বিজেপি। সিব্বলের দাবি, নোটবন্দির পর কালো টাকা সাদা করার ঘটনা নতুন নয়। স্টিংয়ে দেখা যাচ্ছে, ৫ কোটি পুরনো টাকাকে ৪০ শতাংশ কমিশন নিয়ে বিজেপি কর্মী নতুন নোটে ফেরত দিয়েছেন। গুজরাতের বিজেপি দফতর থেকেই সেই কর্মীকে ব্যাগ হাতে বেরোতে দেখা গিয়েছে। বারবার অমিত শাহের অভয়ের কথাও বলেছেন। এর পর প্রশ্ন থাকে, এই টাকা কোথা থেকে এল? চোর কে? চৌকিদার কে? দেশভক্ত কে? দেশদ্রোহী কে?

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

রাহুল গাঁধী আজ ছিলেন রাজস্থানে। সেখানে এই স্টিং নিয়ে কিছু বলেননি। কিন্তু নোটবন্দি নিয়ে মোদী-শাহকে আক্রমণ করেছেন। বলেন, নোটবন্দির পর কালো টাকার মালিকদেরই ব্যাঙ্কের পিছনের দরজা দিয়ে সাহায্য করছিলেন মোদী। গুজরাতে অমিত শাহের একটি ব্যাঙ্ক আছে। সেখানে ৭০০ কোটি টাকা বদল হয়েছে। তাঁর ছেলে ৫০ হাজার টাকার ব্যবসা কয়েক মাসে ৮০ কোটি টাকা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement