বিহারে বিজেপি-জেডিইউ ঐক্য তুলে ধরাটাই প্রধানমন্ত্রী মোদীর লক্ষ্য। ছবি: এপি।
বিহারে যৌথ ভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আগামী কাল গয়ায় সভা করবেন তাঁরা। সেখান থেকেই প্রধানমন্ত্রী যাবেন জামুইয়ে। সেখানেও একটি জনসভায় অংশ নেবেন তাঁরা। তবে নীতীশ অবশ্য জামুইয়ে সভা করবেন ৪ এপ্রিল।
প্রথম দফার নির্বাচনের প্রচার শুরু হয়েছে বিহারে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ইতিমধ্যেই রাজ্যে সভা করেছেন। বাকি নেতারাও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সভা শুরু করেছেন। কিন্তু নীতীশ কুমার এই প্রথম নির্বাচনী প্রচারে নামবেন। গত কয়েক দিন বাড়িতে বসেই নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করেছেন তিনি। এ বার, রাজ্যে নির্বাচনী পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পেয়েছেন জেডিইউ সাংসদ আর সি পি সিংহ। তা নিয়ে কিছুটা হলেও অভিমান হয়েছে সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোরের।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুধুমাত্র গয়ার সভাতেই থাকবেন নীতীশ কুমার। গয়া লোকসভা কেন্দ্রটি এ বার বিজেপি সহযোগী জেডিইউকে ছেড়েছে। জেডিইউ প্রার্থীর সমর্থনেই প্রচারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। গয়াতে মহাজোটের প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি-জেডিইউ ঐক্য তুলে ধরাটাই প্রধানমন্ত্রী মোদীর লক্ষ্য। পাশাপাশি, জামুইয়ে এনডিএ প্রার্থী লোক জনশক্তি পার্টির চিরাগ পাসোয়ান। এমনিতেই চিরাগকে পছন্দ করেন মোদী। সেখানে রামবিলাস পাসোয়ানের সঙ্গে সভা করবেন তিনি। জেডিইউ নেতারাও জামুইয়ে হাজির থাকবেন।
বিহারের প্রথম দফার নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী দলের প্রার্থীদের এলাকায় সভা না করে শরিকদের কেন্দ্রে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিহার রাজনীতিতে বিষয়টি নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, শরিকদের কেন্দ্র থেকে প্রচার করে বিহারে ঐক্যের বার্তা দিতে চাইছেন তিনি। নীতীশ কুমারও প্রথম প্রচার সভা করছেন মোদীর সঙ্গেই। গোটা বিষয়টির পিছনে রাজনৈতিক পরিকল্পনা দেখছেন ওয়াকিবহাল মহল। এনডিএ শিবির জোট বেঁধে নামলেও বিরোধী মহাজোট শিবির এখনও ছন্নছাড়া। কংগ্রেস এবং আরজেডি একত্রে কোনও সভাই করেনি। বাকি শরিকরাও সে ভাবে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারেনি। এমনকি এখনও ৯টি আসনে প্রার্থীর নামই ঘোষণা করেনি মহাজোট।