ফাইল চিত্র।
মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, অজিত চৌধরি এবং তাঁর পুত্র জয়ন্ত। সঙ্গে মায়ার সেনাপতি সতীশচন্দ্র মিশ্র। সকলের নাম ঘোষণা হল। কিন্তু মায়ার সঙ্গে হেলিকপ্টারে যে আর এক যুবক নামলেন, তাঁর নাম বলা হল না তো! অথচ মায়া-অখিলেশ-অজিতের সঙ্গে তিনিও জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ালেন। মায়ার পাশে তাঁকে জায়গা করে দিয়ে নিজে বরং অনেকটা সরে গেলেন সতীশ মিশ্র। ২৪ বছরের এই যুবককে আগেই বেশ কয়েক বার দেখা গিয়েছে মায়ার সঙ্গে। লখনউয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে বৈঠকে। তিনিও এক ভাইপো। নাম, আকাশ আনন্দ। মায়াবতীর ভাই আনন্দের ছেলে। লন্ডনে এমবিএ করে দেশে ফিরেছেন। মায়াকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়ে এসেছেন তিনিই। মায়া-অখিলেশকে আগেই ‘বুয়া-ভাতিজা’ ডাকনাম দিয়েছে রাজনৈতিক মহল। অথচ ঘোষক আজ মায়ার ‘আপন’ ভাতিজার নামটিই বলেননি প্রথমে। ক্ষুব্ধ মায়াই ঘোষককে ডেকে পাঠালেন। মায়া-অখিলেশ-অজিতের বক্তৃতা শেষ হওয়ার পরে। স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন, আকাশের নাম ঘোষণা করুন। সভার একেবারে শেষ লগ্নে ঘোষণাটি হল— ‘‘আমাদের মধ্যে তরুণ নেতা আকাশ আনন্দও আছেন।’’ ফের এক বার সবাই মিলে হাত নাড়ালেন। আকাশও। জল্পনা আগেই ছিল। এ বার আরও জোরদার হল। আকাশই কি মায়ার উত্তরাধিকারী?