লালথনামুয়ানি
মিজোরামের ৪৭ বছরের ইতিহাসে প্রথম বার লোকসভা ভোটে লড়তে নামছেন কোনও মহিলা। গত বছর বিধানসভা ভোটেও লড়তে নেমেছিলেন ৬৩ বছর বয়সি লালথনামুয়ানি। তিনিই প্রথম ভোটে লড়া মিজো ‘বেনে মেনাশে’ বা ইহুদি গোষ্ঠীর প্রতিনিধি। রাজনীতির গতানুগতিক প্রতিশ্রুতি নয়, লালথনামুয়ানির আশ্বাস ভোটে জিতলে তিনি মিজোরামে ‘নতুন জেরুসালেম’ গড়বেন। রাজ্যবাসীর আত্মিক উন্নতিসাধনই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।
লালথনামুয়ানি জানাচ্ছেন, তাঁর মতে রাজনীতি কোনও নোংরা জিনিস নয়। দৈব নির্দেশে, ঈশ্বরের সেবা করতেই তিনি নির্বাচনে লড়তে নেমেছেন। ইজ়রায়েলের হারিয়ে যাওয়া ১০টি আদি শাখার অন্যতম বেনে মেনাশেদের প্রতিনিধিত্ব ভারতের সংসদে করতে চান তিনি। বেনে মেনাশেরা দফায় দফায় মিজোরামে ফিরছেন। যাঁরা এখনও মিজোরাম-মণিপুরে থেকে গিয়েছেন তাঁদের উন্নতিসাধন করাই লালের ধর্ম। মিজোরামে এখনও হাজার বিশেক বেনে মেনাশের বাস। ‘চিংলুং ইজারায়েল পিপলস কনভেনশন’-এর সহ-সভাপতি লাল মিজোরাম তথা ভারতের সঙ্গে ইজরায়েলের আত্মিক যোগাযোগ সুদৃঢ় করতে চান। চান কৃষক ও মহিলাদের উন্নতি।
বাকি পাঁচ পুরুষ প্রার্থীকে হারাতে ভোট প্রচারে বেরোনো বা মানুষের বাড়ি বাড়ি ভোট চাইতে যাওয়ার কোনও ইচ্ছেই নেই লালথনামুয়ানির। নেই টাকাও। তাঁর আশা, মানুষের ভালবাসা ও ঈশ্বরের আশীর্বাদেই তিনি জিতে যাবেন। তাঁর মতে, মিজোরামে মেয়েরা রাজনীতিতে আগ্রহ পায় না বলেই আসে না। কিন্তু তাঁদের বোঝাতে হবে রাজনীতিও ঈশ্বর সেবার অঙ্গ হতে পারে। তাঁর কথায়, “অনেকে আমাকে নিয়ে হাসাহাসিও করেন। পরোয়া নেই। নতুন জেরুসালেম গড়ার স্বপ্ন নিয়েই লড়াই চলবে।” গত বছর বিধানসভা ভোটে ২০৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৬ জন মহিলা লড়েছিলেন। জিততে পারেননি কেউ। ৩২ বছরের ইতিহাসে মিজোরামে দু’জন মহিলা মন্ত্রী হয়েছেন।