ফুটবল-যোগ প্রমাণে ব্যস্ত মিজো প্রার্থীরা 

রাজ্যের একমাত্র লোকসভা আসনে গোলপোস্ট পার করতে মাঠে নেমেছেন ছ’জন প্রার্থী। ভোটার টানতে তাঁরাও ফুটবলের সঙ্গে নিজের যোগাযোগ প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত।

Advertisement

রাজীবাক্ষ রক্ষিত

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:৪৯
Share:

ফুটবল পাগল রাজ্য মিজোরাম। গত বছর বিধানসভা ভোটে জিতে আইজল এফসি দলের মালিক রবার্ট আর রয়তে বিধায়ক এবং মন্ত্রীও হয়ে গিয়েছেন। রাজ্যে ফুটবলের জনপ্রিয়তা দেখে নির্বাচন কমিশন সাইলো মালসাওমতলুয়াঙ্গাকে ‘স্টেট আইকন’ হিসেবে বেছে নিয়েছে।

Advertisement

এ বার রাজ্যের একমাত্র লোকসভা আসনে গোলপোস্ট পার করতে মাঠে নেমেছেন ছ’জন প্রার্থী। ভোটার টানতে তাঁরাও ফুটবলের সঙ্গে নিজের যোগাযোগ প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত।

কংগ্রেস ও জোরাম পিপলস মুভমেন্ট সমর্থিত নির্দল প্রার্থী লালঘিনলোভা মার ওরফে তেতিয়া মিজোরাম ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাম্মানিক সচিব। তাঁকে রাজ্যে ফুটবলের জনপ্রিয়তার নয়া রূপকার বলে মনে করেন অনেকে। আইজলে মিজো ফুটবল লিগ চালু করা, স্থানীয় কেবল টিভিতে তার সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা, ফুটবল লিগকে লাভের মুখ দেখানো- সবই মারের সৌজন্যে। প্রাক্তন আইপিএস তথা জেডপিএফ প্রধান লালডুহোমার মতে, রাজ্যের জন্য স্বচ্ছ, উদ্যমী, সাংগঠনিক দুরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রার্থীকে সাংসদ করা প্রয়োজন ছিল। তাই বিধানসভায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁরা মারকে সমর্থন করছেন। ৪২ বছর বয়সি মারের কথায়, ‘‘ফুটবল হোক বা রাজ্যের উন্নয়ন- সবই টিমগেম। দলবদ্ধভাবে ভাল খেললে তবেই সুফল আসবে। তৃণমূল স্তর থেকে ফুটবলের উন্নতি করার চেষ্টা করেছি বলেই বৃহত্তর মাঠে গিয়ে রাজ্যের খেলোয়াড়েরা সফল হচ্ছেন। ভোটের হিসেবও অনেকটা তেমনটাই। সঠিক মানুষকে সঠিক পজিশনে বেছে নেওয়া, তাঁকে সঠিক সময়ে মাঠে নামানোই জয়ের চাবিকাঠি।’’ শুধু ফুটবল প্রশাসকই নন, মার রাজ্যের নামকরা সংবাদপত্রের সাংবাদিকও ছিলেন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শাসক দল এমএনএফের সি লালরোসাঙ্গা। ৬২ বছরের লাল দূরদর্শনের অবসরপ্রাপ্ত ডিজি। ছিলেন আকাশবাণীর কর্তাও। তাঁর দাবি, দূরদর্শন ও রেডিয়োর কর্তা হিসেবে রাজ্যের ফুটবল ও অন্যান্য ক্রীড়া যতটা সম্ভব দর্শক-শ্রোতার কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। লালের হয়ে মাঠে নেমেছেন ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী তথা আইজল এফসির মালিক রবার্ট।

Advertisement

মিজোরাম

লোকসভা ২০১৪
মোট আসন ১ কংগ্রেস- ১

এখন বিধানসভা
মোট আসন ৪০
এমএনএফ ২৬, বিজেপি ১, জেডপিএম ৮, কংগ্রেস ৫

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মিজো ভূমিপুত্রদের স্বাতন্ত্র্য ও অধিকার রক্ষা নিয়ে তৈরি দল প্রিজম প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার টিবিসি লালভেনচুঙ্গাকে প্রার্থী করেছে। লাল অবশ্য মারের ফুটবল-যোগ নিয়ে চিন্তিত নন। তাঁর চিন্তা সাংবাদিক মারকে নিয়ে। ভেনচুঙ্গার মতে, ‘‘রাজ্যে সবাই ফুটবল খেলে, ভালবাসে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের পক্ষপাতিত্ব পুরোটাই মার পাচ্ছেন। কারণ তিনি সাংবাদিক ছিলেন। সেটা ঠিক হচ্ছে না।’’ এই তিন জনের সঙ্গে লড়তে নামছেন নির্দল প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রথম মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার লালরিয়াতরেঙ্গা ছাংতে, বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রী নিরুপম চাকমা এবং রাজ্যের লোকসভা ভোটের ইতিহাসে প্রথম মহিলা তথা প্রথম ইহুদি প্রার্থী লালথলামুয়ানি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement