সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে এক দিন আগেই (সোমবার) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর মুখ সম্বলিত বোর্ডিং পাস সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল ‘এয়ার ইন্ডিয়া’। এ বার সে পথেই হাঁটল আরও এক বিমানসংস্থা ‘গো এয়ার’ও। মঙ্গলবার থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর মুখের পাশাপাশি জানুয়ারির ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত শীর্ষ বৈঠক’-এর বিবরণ দেওয়া বোর্ডিং পাস তুলে নিল ওই বিমান সংস্থা। নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনেই তারা এই পদক্ষেপ করেছে বলে এ দিন জানিয়েছেন সংস্থার মুখপাত্র।
১৮-২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত শীর্ষ বৈঠক’। সংস্থার মুখপাত্রের দাবি, সে সময়ে ওই অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল বোর্ডিং পাসে। তবে শ্রীনগর বিমানবন্দরে সংস্থার কর্মীদের অসাবধানতার কারণেই এখনও শ্রীনগর বিমানবন্দরে ওই বোর্ডিং পাসগুলি ব্যবহার করা হচ্ছিল। অবিলম্বে সেগুলি ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
২৫ মার্চ টুইটারে নিজের বোর্ডিং পাসের ছবি শেয়ার করে এক যাত্রী লিখেছিলেন, ‘‘আমার এয়ার ইন্ডিয়া বোর্ডিং পাসটি স্পষ্ট ভাবে নরেন্দ্র মোদী, ভাইব্র্যান্ট গুজরাত এবং বিজয় রূপাণীর বিজ্ঞাপন করছে... যে নির্বাচন কমিশন দেখেও না শোনেও না, তাদের উপর ঠিক কেন জনসাধারণের পয়সা নষ্ট করা হচ্ছে সেটাই ভাবছি।’’ এর পরই নির্বাচনী আচরণ বিধিভঙ্গের অভিযোগে সরব হন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। তার পরেই ওই বোর্ডিং পাস ‘সরিয়ে নেওয়ার’ কথা জানিয়ে দেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।
এর মাঝেই সোমবারই ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা টুইট করেন যে, দিন কয়েক আগে তিনি ‘গো এয়ার’-এর একটি বিমানে উঠেছিলেন এবং তার বোর্ডিং পাসেও ‘এয়ার ইন্ডিয়া’র মতোই প্রধানমন্ত্রীর ছবি-সহ বিজ্ঞাপন ছিল।