আসছেন জৈন, শেষ পর্বের ভোটে আরও সতর্কতা

তবে শুধু ভোট প্রস্তুতির বৈঠক করেই শহর ছাড়বেন না জৈন। সঙ্গে গণনা সংক্রান্ত নানা খুঁটিনাটি বিষয়ও হাতেকলমে বোঝাবেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৯ ০৩:২৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

ভোট সপ্তমীর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আগামী পরশু, রবিবার শহরে আসছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। একইসঙ্গে গণনা পর্বও হাতেকলমে বোঝাবেন তিনি।

Advertisement

শেষ দফায় কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনার ৯টি কেন্দ্রের ১৭,০৪২টি বুথে ভোট। ওই ন’টি কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে সোমবার সকালে বৈঠক করার কথা জৈনের। সেখানে থাকবেন ওই কেন্দ্রগুলির সাধারণ, পুলিশ এবং খরচ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষকেরা। প্রতি দফার আগে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলির জন্য এই ধরনের বৈঠক ভিডিয়ো কনফারেন্সেই করছিলেন কমিশনের কর্তারা। কিন্তু শেষ দফায় উপ নির্বাচন কমিশনারের সরাসরি শহরে এসে বৈঠক করা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তাঁদের মতে, কলকাতা-সহ লাগোয়া এলাকায় ভোট পর্বে সামান্য বিচ্যুতি হলেও তা সংবাদমাধ্যমে অনেক বেশি গুরুত্ব পাবে। তাতে কমিশনের ভাবমূর্তিই ধাক্কা খাবে। সেই সম্ভাবনা এড়াতেই এই সরাসরি বৈঠক।

তবে শুধু ভোট প্রস্তুতির বৈঠক করেই শহর ছাড়বেন না জৈন। সঙ্গে গণনা সংক্রান্ত নানা খুঁটিনাটি বিষয়ও হাতেকলমে বোঝাবেন তিনি। তাই সোমবার রাজ্যের জেলা নির্বাচন অফিসার এবং রির্টানিং অফিসারদের নিয়েও বৈঠক করবেন জৈন। তার পরে একটি আদর্শ গণনাকেন্দ্রে কেমন হওয়া উচিত, গণনাতে কী কী বিষয় নজর রাখতে হবে, তা বিশদে বোঝাবেন তিনি। সে জন্য আদর্শ গণনা কেন্দ্রের মডেল তৈরি করার কথা। ষষ্ঠ দফায় নির্বাচন হওয়া কেন্দ্রগুলির রিটার্নিং অফিসারেরা অবশ্য ওই বৈঠকে থাকবেন না।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ দিকে, সোমবার ষষ্ঠ দফার ভোটের আটটি কেন্দ্রের জন্য আরও ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ফলে ওই দফায় মোট ৭১৩ কোম্পানি বাহিনী ব্যবহার হতে চলেছে। মাওবাদী অধ্যুষিত ঝাড়গ্রাম বাদে অন্য কেন্দ্রের ৮০.৭৭ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাঁকুড়াতে ১৩৮ কোম্পানি, ঝাড়গ্রামে ১১৪ কোম্পানি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৬৬ কোম্পানি, পূর্ব বর্ধমানে ১০ কোম্পানি, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৮১ কোম্পানি এবং পুরুলিয়াতে ১০৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হবে। এক বুথ সম্বলিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সবটাই বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কিন্তু দুই বুথ সম্বলিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের একটি অংশে রাজ্য পুলিশের পাহারায় থাকার কথা। তবে অন্য একটি সূত্রের দাবি, বাহিনী আরও বাড়তে পারে।

এ দিকে, বিষ্ণুপুর-সহ সর্বত্র সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত সিইও অফিসের সামনে অবস্থানে বসেন ওই আসনের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ এবং দলীয় নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement