রাজ্যের ধনীতম প্রার্থীর বিরুদ্ধে হাতে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ধুবুড়িতে লড়তে নেমেছেন ২৬ বছরের দিন মজুর। আর দুই প্রাক্তন জঙ্গি নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে, কোকরাঝাড় কেন্দ্র থেকে, হাতে ২০ হাজার টাকা নিয়ে লড়তে নামছেন বেকার যুবক।
দু’জনেই দাবি, বেকারত্ব ঘোচানো, রাস্তা-সড়ক তৈরি ও দারিদ্র দূরীকরণে চেষ্টাই করছে না দলগুলো। নতুন প্রজন্মকেই এই ভার নিতে হবে।
ধুবুড়ির সাংসদ বদরুদ্দিন আজমলের সম্পদ ৭৫ কোটির। রাজ্যে তিনিই ধনীতম প্রার্থী। কংগ্রেসের আবু তাহের বেপারিও প্রাক্তন বিধায়ক। তাঁদের বিরুদ্ধে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে লড়তে নেমে এর \মধ্যেই ২০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে শুকুর আলি ওরফে মিলনের। কখনও নৌকো চালানো, কখনও দিন মজুরি করে রোজগার করা
মদাতি গ্রামের যুবক মিলন ফি বছর নিজের রোজগার দিয়েই গ্রামে একটি করে বাঁশের সাঁকো বানিয়ে দেন। ইতিমধ্যে ৬টি সাঁকো তৈরি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “টাকা থাকলেও প্রার্থীরা গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করেন না। প্রতিবার রাস্তা, সেতু গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সেতু তো বানিয়েছি আমি। মানুষের জন্য যথাসাধ্য করেছি।”
দ্বাদশ শ্রেণি পাশ নির্দল প্রার্থী মিলন বিয়ে করেননি। ধুবুড়ির অনুন্নত এলাকার উন্নতি করে তবে সংসারে
মন দেবেন। কিন্তু হেভিওয়েট প্রার্থীদের হারাবেন কী ভাবে? মিলনের আশা, “আল্লার দোয়া থাকলে
কিছুই অসম্ভব নয়। ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপে যতটা সম্ভব প্রচার সারছি। এখানকার মানুষ জানেন, গরিবের দুঃখ গরিবই বুঝবে।”
কোকরাঝাড়ের বর্তমান নির্দল সাংসদ নব শরণিয়া আবার আলফার ৭০৯ ব্যাটেলিয়নের মাথা ছিলেন। বিজেপি সমর্থিত বিপিএফ প্রার্থী প্রমীলারানি ব্রহ্ম এক সময় বিপিএফের জঙ্গি নেত্রী ছিলেন। দীর্ঘকাল অসমের মন্ত্রী থাকা প্রমীলাদেবীর সম্পত্তি কিছু কম নয়। তাঁদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ২৬ বছর বয়সী সিপিএম প্রার্থী বিরাজ ইংরেজিতে এমএ পাশ করে বেকার।
অসমে এসএফআইয়ের সহ-সভাপতি বিরাজ বলেন, “লেখাপড়া করেও চাকরি নেই নতুন প্রজন্মের। রাজনীতিতে তাঁদের এগিয়ে আসতেই হবে।” ়বিরাজের হাতে টাকা তেমন নেই। জানান, খেটে খাওয়া বড়ো-অবড়ো মানুষরা চাঁদা তুলে টাকা জোগাচ্ছেন। প্রার্থীদের টাকা ছড়ানো যেখানে প্রথা, সেখানে মানুষের চাঁদা তোলাই তো পরিবর্তনের ইঙ্গিত।