প্রতীকী ছবি।
দিল্লির দৌড়ে এগিয়ে থাকতে হলে উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে ভাল ফল না করলে চলবে না। অথচ সেই মহারাষ্ট্রে একের পর এক কংগ্রেস নেতা দল ছাড়ছেন। অবশেষে টনক নড়ল কংগ্রেস হাইকমান্ডের। লোকসভা ভোটের আগে ঘর অক্ষত রাখতে এআইসিসি-র তিন নেতাকে মুম্বই পাঠানো হল।
কংগ্রেসে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল, মল্লিকার্জুন খড়্গে-সহ তিন নেতাকে আজ মহারাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা মুম্বইতে অশোক চহ্বাণ, পৃথ্বীরাজ চহ্বাণ, সুশীলকুমার শিন্ডের মতো নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে এনসিপি-র সঙ্গে আসন সমঝোতার পরে ৪৮টি আসনের মধ্যে ২৬টি আসন কংগ্রেসের ভাগে এসেছে। এর মধ্যে দু’টি আসন ছোট দলকে ছেড়ে দিয়ে কংগ্রেস ২৪টি আসনে লড়বে। এই ২৪টি আসনে যাতে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করেন, এআইসিসি প্রতিনিধি দলের নেতারা মূলত সেই চেষ্টা করবেন।
৮০টি আসনের উত্তরপ্রদেশের পরেই মহারাষ্ট্রে সবথেকে বেশি লোকসভা আসন রয়েছে— ৪৮টি। বিজেপি-শিবসেনার মধ্যে গাঁটছড়ার আগে পর্যন্ত প্রকাশ্য বিবাদ, তার পরে মহারাষ্ট্রে একের পর এক কৃষক আন্দোলনের পুরো ফায়দাই তাঁরা পাবেন বলে কংগ্রেস নেতারা আশা করছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস-এনসিপি আসন সমঝোতার পরেই টিকিট বণ্টন নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়। বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেসের রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাটিলের পুত্র সুজয়, সাতারার জেলা সভাপতি রঞ্জিত নায়েক বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। সোলাপুরের দুটি চিনিকলের মালিক কল্যাণ কালেও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা। প্রবীণ সাংসদ মাণিকরাও গাভিট ও তাঁর ছেলে ভরতও দল ছাড়তে পারেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ফাঁস হয়ে যাওয়া অডিয়ো টেপে শোনা গিয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অশোক চহ্বাণও বলছেন, তিনি নিজেই পদত্যাগ করার কথা ভাবছেন। কারণ, টিকিট বণ্টন নিয়ে তাঁর কথা কেউ শুনছে না। অশোককে নানদেদ থেকে প্রার্থী করা নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে দলের মধ্যে। সম্প্রতি মুম্বই কংগ্রেসের প্রধানের পদ থেকে সঞ্জয় নিরুপমকে সরিয়ে মিলিন্দ দেওরাকে ওই পদে বসানো হয়েছে।
রাজ্য নেতাদের আশা, এআইসিসি নেতারা বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করবেন। কিন্তু শেষবেলায় টনক নড়েও লাভ হবে কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।