ভোট প্রচারের গোড়া থেকেই রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণে নামার কৌশল নিল বিজেপি। এক দিকে, রাহুল তাঁর বক্তৃতায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙেছেন বলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল নরেন্দ্র মোদীর দল। অন্য দিকে কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে পারিবারিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেও মাঠে নেমেছে তারা।
গত কাল আমদাবাদে রাহুল ফের অভিযোগ তোলেন, রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত দিয়ে অনিল অম্বানীর পকেট ভরেছেন নরেন্দ্র মোদী। এ নিয়েই আজ নির্বাচন কমিশনে গিয়েছে বিজেপি। কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘অপ্রমাণিত অভিযোগ তুলে আচরণবিধি ভেঙেছেন রাহুল। তাই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কমিশনকে অনুরোধ করা হয়েছে।’’ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কমিশন।
বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি আজ অভিযোগ তোলেন, গাঁধী পরিবারের সঙ্গে নাম জড়িয়ে রয়েছে পলাতক অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারীর। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার স্বামী রবার্টের ঘনিষ্ঠ সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ ইরানি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের মূল নীতিই হল, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। ওই অস্ত্র ব্যবসায়ী ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে রাহুলের কী সম্পর্ক, তা স্পষ্ট করুক কংগ্রেস।’’ স্মৃতির দাবি, রাফাল চুক্তিতে ‘পারিবারিক স্বার্থ’ ব্যাহত হওয়ার জন্যই ওই বিমান কেনার বিরোধিতা করে যাচ্ছেন রাহুল।