ধর্ষণের মামলা চলছে। তাই ভোটে দাঁড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দল। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও অসমের নগাঁও লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান চার বারের সাংসদ রাজেন গোঁহাই। সেখানে বিধায়ক রূপক শর্মার নাম চূড়ান্ত করে দিল্লিতে পাঠানোও হয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই নাটকীয় মোড়। আজ হাইকোর্টে রাজেনবাবুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নিল বাদীপক্ষ। জানালো, ভুল বোঝাবুঝির জেরেই কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছিল।
গত বছর ২ অগস্ট ২৪ বছর বয়সী এক বিবাহিতা মহিলা রাজেনবাবুর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ধর্ষণ, হুমকির অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মহিলার বিরুদ্ধে রাজেনবাবুও পাল্টা অভিযোগ করেন। পরে ওই মহিলা মামলা প্রত্যাহার করে নিতে চাইলেও বিষয়টি ততক্ষণে আদালতের এক্তিয়ারে চলে যায়। গত বছর নগাঁও জেলা দায়রা আদালত পুলিশকে রাজেনবাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়। রাজেনবাবু হাইকোর্টে যান। তাঁর অভিযোগ, ওই মামলা সাজানো। তাঁকে টিকিট না দেওয়ার চক্রান্ত।
আজ গৌহাটি হাইকোর্টে বিচারপতি সুমন শ্যামের এজলাসে অভিযোগকারিণীর তরফে জানানো হয় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তাঁরা অভিযোগ তুলে নিতে চান। পুলিশ রিপোর্টেও ধর্ষণের কোনও ঘটনার প্রমাণ মেলেনি। বিচারপতি নগাঁও জেলা আদালতের রায় খারিজ করে রেল প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা খারিজ করে দেন। অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে কেঁদে ফেলেন রাজেনবাবু ও তাঁর স্ত্রী। রাজেনবাবু জানান, তিনি বিষয়টি প্রদেশ সভাপতি ও জাতীয় সভাপতিকে জানাবেন। পাঠিয়ে দেবেন, হাইকোর্টের রায়ের প্রতিলিপি। প্রার্থী হতে এখন কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়।