চৌকিদার বিতর্কের মধ্যে এক অন্য ধরনের ‘চুরির’ অভিযোগ উঠল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দলের বিরুদ্ধে। তা হল, কাজের কৃতিত্ব চুরি। অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরের একটি ওয়েব ডিজাইন সংস্থা সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছে, বিজেপির ওয়েবসাইটে তাদের তৈরি ডিজাইন তথা ‘টেমপ্লেট’ ব্যবহার করা হয়েছে, অথচ এ জন্য তাদের কোনও কৃতিত্বই দেওয়া হয়নি।
কয়েক সপ্তাহ আগে হ্যাক করা হয় বিজেপির ওয়েবসাইট। তার পর থেকে বেশ কিছু দিন সাইটটি খোলা যায়নি। নেল্লোরের স্টার্ট আপ সংস্থা ডব্লিইউথ্রিলেআউট-এর পক্ষ থেকে টুইটারে অভিযোগ করা হয়েছে, গত কাল তারা দেখে বিজেপির ওয়েবসাইটটি কাজ করতে শুরু করেছে। এবং সেখানে তাদের বানানো ‘পিক’ টেমপ্লেটটি ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ কোড থেকে ওই সংস্থার ব্যাকলিঙ্ক মুছে ফেলা হয়েছে, তাদের না জানিয়েই। ওই লিঙ্ক মুছে দেওয়ার অনুরোধ করলে সংস্থাটি নিজে থেকেই তা করে দিতে পারত। এ ক্ষেত্রে সেই অনুরোধ জানানোর সৌজন্যটুকুও দেখানো হয়নি। এ নিয়ে সংস্থাটি একটি ব্লগও লেখে। যেখানে তারা জানায়, বিনামূল্যে সকলে ব্যবহার করতে পারেন, এমন টেমপ্লেট বানিয়ে থাকে তার। কিন্তু যাঁরা ওয়েবসাইটে এই টেমপ্লেট ব্যবহার করেন, তাঁরা প্রত্যেকেই নিজেদের ওয়েব পেজে টেমপ্লেট বানানোর কৃতিত্বটি তাদের সংস্থাকে দিয়ে থাকে। বিজেপির তরফে অবশ্য সেটুকুও করা হয়নি।
ডব্লিইউথ্রিলেআউট-এর আরও অভিযোগ, টুইটারের মাধ্যমে তারা যখন বিষয়টি বিজেপির নজরে আনে, তখন ওয়েবসাইট থেকে তাদের সমস্ত কোড সরিয়ে দেওয়া হয়। ব্লগে ওই সংস্থা লিখেছে, ‘‘একটা জাতীয় দল, যার নেতা নিজেকে দেশের রক্ষক (চৌকিদার) বলে দাবি করেন, তারা একটি ছোট্ট সংস্থার ঘাম-রক্ত দিয়ে তৈরি কোনও সৃষ্টি এ ভাবে চুরি করে কী করে? বিষয়টি নজরে আনার পরেও তারা একই ভাবে ওই সংস্থাকে অসম্মান করে চলেছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি শাখার দায়িত্বে থাকা নেতা অমিত মালব্য সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘ওটা বিনামূল্যে ব্যবহারের ওয়েবসাইট। ওদের কোড সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, কারণ ওরা ব্যাকলিঙ্কের জন্য চাপ দিচ্ছিল, যেটা সাধারণত আমরা করি না। আমরা ওদের নাম দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু ওরা কোনও সুবিধে চায়নি। ওদের কোনও টেমপ্লেট ব্যবহার করছি না।’’