শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। -ফাইল ছবি।
লাফিয়ে বাড়া কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে মহারাষ্ট্রে ফের লকডাউন ঘোষণার পক্ষে জোর সওয়াল করলেন শাসকদল শিবসেনার প্রবীণ নেতা সঞ্জয় রাউত। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকড় ও মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের মতো বিজেপি নেতাদের আপত্তিকেও কার্যত তুড়ি মেরেই উ়ড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘এটা ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ নয়। করোনাযুদ্ধ। এটা নিয়ে কারও রাজনীতি না করাই উচিত।’’
জাভড়েকড় ও ফড়ণবীশের বক্তব্য ছিল, মানুষ আর লকডাউন চাইছেন না। তাই ফের লকডাউন ঘোষণার মতো কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই মহারাষ্ট্রে।
এর প্রেক্ষিতে ফড়ণবীশ ও জাভড়েকড়, দু’জনেরই কড়া সমালোচনা করেন শিবসেনা নেতা, সাংবাদিকদের কাছে। বলেন, ‘‘দেবেন্দ্র রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। উনি বলেছেন রাজ্যের মানুষ লকডাউন চাইছেন না। আমরা সেটা জানি। কিন্তু মানুষকে বাঁচাতে আর কোনও বিকল্প রয়েছে কি? আমার তো মনে হয় সারা দেশেই আবার লকডাউন ঘোষণা করা প্রয়োজন।’’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকড়ের মন্তব্য নিয়ে সঞ্জয় বলেন, ‘‘উনি কেন দিল্লিতে বসে আমাদের পরামর্শ দিচ্ছেন? ওঁর এখানে (মহারাষ্ট্র) আসা উচিত। সব দেখা উচিত। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।’’
মহারাষ্ট্রে ফের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তারই সঙ্গে গত ২ সপ্তাহ ধরে মহারাষ্ট্রে কোভিড টিকার আকাল দেখা দিয়েছে। টিকার অভাবে বন্ধ হয়েছে গিয়েছে রাজ্যের অন্তত ৫০টি কেন্দ্র। একই সঙ্গে আকাল দেখা দিয়েছে অক্সিজেনেরও। ফলে বহু হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে থাকা কোভিড রোগীকে সরিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে অন্য হাসপাতালে। অন্য হাসপাতালগুলিও সহজে নিতে চাইছে না ভেন্টিলেশনে থাকা কোভিড রোগীদের।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সেখানে লকডাউন ঘোষণা, বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার নির্দেশের মতো কয়েকটি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়। উদ্ধব নিজেও রাজ্যে ফের লকডাউন ঘোষণার পক্ষে সওয়াল করেন বলে সরকরি সূত্রে খবর।