যোগী আদিত্যনাথ ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে কংগ্রেসের এক হাজার বাসকে উত্তরপ্রদেশে ঢোকার অনুমতি দেওয়া নিয়ে টানাপড়েন অব্যাহত। আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসে, মঙ্গলবার প্রিয়ঙ্কাকে ফের চিঠি পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এ বার তাতে বলা হয়েছে, দিল্লির সীমানাবর্তী গাজিয়াবাদ ও নয়ডাতে ৫০০ করে বাস নিয়ে যেতে। বাস রাজ্যে ঢুকতে পারে বলে সোমবার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল যোগী সরকার। কিন্তু পরিস্থিতি আচমকাই নাটকীয় মোড় নেয়। ওই দিন রাত ২টো নাগাদ প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে চিঠি পাঠিয়ে নতুন শর্ত দেওয়া হয়। বলা হয়, সমস্ত কাগজপত্র-সহ বাস সরকারকে হস্তান্তর করতে হবে। যদিও পত্রপাঠ তা খারিজ করে দেয় কংগ্রেস।
পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার কথা বলে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কংগ্রেসের এক হাজার বাস রাজ্যে ঢোকার অনুমতি চেয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কার সেই আর্জি মেনেও নিয়েছিল যোগী সরকার। কিন্তু সোমবার রাত ২টো নাগাদ উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে এক শীর্ষ কর্তা চিঠি পাঠান প্রিয়ঙ্কাকে। তাতে নয়া শর্ত আরোপ করা হয়েছে। ওই চিঠিতে সমস্ত ফিটনেস সার্টিফেকেট-সহ বাসগুলি ও চালকদের লাইসেন্স সরকারকে মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে হস্তান্তর করার কথা বলা হয়। চিঠি পাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে পাল্টা বার্তা দেয় কংগ্রেসও। প্রিয়ঙ্কার ব্যক্তিগত সচিব সন্দীপ সিংহ লেখেন, ‘‘বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’’ বাসগুলি হস্তান্তরের জন্য খালি অবস্থায় উত্তরপ্রদেশ সীমানা থেকে লখনউতে নিয়ে যাওয়ার কী প্রয়োজন, সেই প্রশ্নও তোলা হয় চিঠিতে।
শনিবার উত্তরপ্রদেশের ঔরৈয়াতে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সেই দুর্ঘটনার পরেই প্রিয়ঙ্কা গাঁধী টুইটারে একটি ভিডিয়ো বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উদ্দেশে। তিনি বলেন, ‘‘এটা রাজনীতি করার সময় নয়। হাজার হাজার শ্রমিক খিদে, তৃষ্ণা নিয়ে বাড়ি পৌঁছনর জন্য রাস্তায় নেমেছেন। ওঁদের সাহায্য করা উচিত। আমাদের খালি বাসগুলি উত্তরপ্রদেশের সীমানায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে বাসগুলি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হোক।’’ কিন্তু প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে কংগ্রেসের সমালোচনা করেন যোগী আদিত্যনাথ।
আরও পড়ুন: দেশে ১ লাখ ছাড়িয়ে গেল করোনা সংক্রমণ, মৃত্যু বেড়ে ৩১৬৩
পঞ্জাব, রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতে আটকে পড়া উত্তরপ্রদেশের পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে মোট এক হাজার বাসের ব্যবস্থা করেছে কংগ্রেস। সেই বাসগুলি উত্তরপ্রদেশে ঢোকার জন্য অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তার পরই নতুন শর্ত দেয় যোগী সরকার। কংগ্রেস তা বাতিল করে দিলে, এ দিন ফের আর এক দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: লাইভ: আরও কাছে আমপান, প্রবল জলোচ্ছ্বাস নিয়ে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা সুন্দরবন এলাকায়