প্রতীকী ছবি।
সিদ্ধ চাল ছাড়া বাঙালির মুখে রোচে না। তাই পশ্চিমবঙ্গের জন্য এপ্রিলের মধ্যেই ৬ লক্ষ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল জোগাড় করতে উঠেপড়ে লেগেছে মোদী সরকারের খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রক। ওড়িশা, ছত্তীসগঢ় ও তেলঙ্গানা থেকে পশ্চিমবঙ্গের জন্য সিদ্ধ চাল পাঠানোর পরিকল্পনা চলছে।
লকডাউনের পরে গরিব মানুষকে সুরাহা দিতে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’য় রেশনে প্রতি মাসে মাথা পিছু ৫ কেজি করে অতিরিক্ত চাল বা গম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এপ্রিল থেকে শুরু করে তিন মাস দেশের ৮১ কোটি মানুষ এই সুবিধা পাবেন। ভেতো বাঙালিদের কথা ভেবে পশ্চিমবঙ্গের জন্য সবটাই চাল দরকার। প্রতি মাসে ৩ লক্ষ ৯১১ মেট্রিক টনের হিসেবে তিন মাসে ৯.০৩ লক্ষ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল দরকার। খাদ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, এপ্রিলের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ড পরিমাণ ৬ লক্ষ মেট্রিক টন চাল পাঠাতে বিশেষ পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা, ওড়িশাতেই সব থেকে বেশি সিদ্ধ চাল হয়। তাই এই তিন রাজ্যই ভরসা।
তবে একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই ৬ লক্ষ মেট্রিক টন চাল মজুত করতে পশ্চিমবঙ্গের এফসিআই গুদামগুলিতে যথেষ্ট জায়গা নেই। কারণ, সেখানে এখনও অনেক গম রয়েছে। তাই রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র অনুরোধ করেছে, এফসিআই গুদাম থেকে রাজ্য দ্রুত গম তুলে নিয়ে বিলির ব্যবস্থা করুক।
রবি ফসল কাটা শেষ হলে চাষিদের থেকে গম কেনা শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে, পঞ্জাবে এ বছরও রেকর্ড পরিমাণ গম উৎপাদন হবে। কিন্তু গম কেনার জন্য চটের বস্তার অভাব। এর জন্য পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন। ক্যাপ্টেন জানান, ‘‘গত পরশু দিনই মমতার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। আমি চটের বস্তা পাঠাতে আনুরোধ করেছি। কিন্তু লকডাউনের জন্য সমস্যা হচ্ছে। তা সত্বেও মমতা আমাকে জানিয়েছেন, তিনি দেখছেন কী ভাবে সাহায্য করা যায়। বাংলা থেকে চটের বস্তা না-আসা পর্যন্ত আমি বিকল্প হিসেবে প্লাস্টিকের ব্যাগ জোগাড় করছি।”