ইএমআই স্থগিতের পরিকল্পনা জমা দিতে কেন্দ্রকে চূড়ান্ত সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য ঋণের কিস্তি স্থগিতের (মোরাটোরিয়াম) বিস্তারিত পরিকল্পনা জমা দেওয়ার জন্য আরও এক সপ্তাহের সময় দিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ, সোমবার পরিকল্পনা জমা দেওয়ার চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু এ দিন আদালতে আরও এক সপ্তাহের সময় চান সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সেই আর্জি মঞ্জুর করে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত চূড়ান্ত সময় দিয়েছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় ঋণগ্রহীতাদের দু’দফায় মোট ছ’মাসের ইএমআই স্থগিতের বিকল্প বেছে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্র। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষণা অনুযায়ী গ্রাহকদের বাড়ি-গাড়ি সহ প্রায় সব ধরনের ইএমআই স্থগিতের সুযোগ দেয় বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি। কিন্তু ওই ইএমআই স্থগিত যাঁরা করেছিলেন, তাঁদের ছ’মাসের কিস্তির টাকার উপর চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ ধার্য করে ব্যাঙ্কগুলি। অর্থাৎ ঋণের মেয়াদ শেষে ওই টাকার পুরো মেয়াদের সুদ ও সুদের উপর সুদ-সহ ঋণ পরিষোধ করতে হবে ঋণগ্রহীতাদের।
ব্যাঙ্কগুলির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবং ইএমআই স্থগিতের সুবিধা নেওয়া গ্রাহকদের সুদ মকুবের আর্জি জানিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মামলাগুলি একত্রিত করে শুনানি চলছে। গত ১০ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে তিন বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায় না দেওয়া পর্যন্ত ঋণগ্রহীতাদের ইএমআই স্থগিতের অঙ্ক অনাদায়ী হিসেবে দেখানো যাবে না। তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া যাবে না কোনও ব্যবস্থাও। একই সঙ্গে কেন্দ্রকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: কৃষক বিক্ষোভের আঁচ রাজধানীতে, পুড়ল ট্রাক্টর, পঞ্জাবে অনড় চাষিরা
এ দিনের শুনানিতে তুষার মেহতা বলেন, ‘‘কিছু বিষয় নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে না।’’ কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল জানান, ইএমআই স্থগিতের পরিকল্পনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তবে আরও কিছু দিন সময় দেওয়ার আর্জি জানান তিনি। তবে এক সপ্তাহের বেশি সময় দিতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: সংসার চালাতে আরও ৫৩ লক্ষ টাকা চান ধনখড়, ‘অপারগ’ নবান্ন
ইএমআই স্থগিতের সুদের বিষয়ে চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি করতে ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। কমিটির মাথায় রয়েছেন কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল রাজীব মেহঋষি। অন্য দিকে এই মামলার শুনানিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগেই জানিয়েছিল, ইএমআই-এর সুদ মকুব করা হলে বিরাট চাপে পড়বে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি।