বুথের পথে ভোটকর্মীরা। ছবি: পিটিআই।
নির্বাচনী বিধি ভেঙেছেন বিআরএসের প্রার্থী এবং কর্মীরা। এই অভিযোগ তুলে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিলেন তেলঙ্গানার বিজেপি সভাপতি জি কিষান রেড্ডি।
দুপুর ৩টে পর্যন্ত তেলঙ্গানায় ৫১.৮৯ শতাংশ ভোট পড়ল। নির্বাচন কমিশনের তরফে এই পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে।
ভোট দিলেন এআইএমআইএম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি। সকলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তেলঙ্গানা এবং হায়দরাবাদে সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার আর্জি জানান তিনি। ভোট দেন ওয়াইএসআর তেলঙ্গানা দলের প্রধান ওয়াইএস শর্মিলাও।
তেলঙ্গানার জনগাঁওতে একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে হাতাহাতিতে জড়ালেন বিআরএস, কংগ্রেস এবং বিজেপি সমর্থকেরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তেলঙ্গানায় সরকার গড়বে কংগ্রেস! এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি রেবন্ত রেড্ডি।
স্ত্রী শোভা রাওকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিলেন বিআরএস (সাবেক টিআরএস) নেতা তথা তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, যিনি কেসিআর নামেই সমধিক পরিচিত। রাজ্যের মেডক জেলায় নিজের গ্রামে ভোট দিতে আসেন কেসিআর। মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামবে বলে বিশেষ হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়।
সকাল ১১টা পর্যন্ত তেলঙ্গানায় ২০.৬৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সকাল ৯টা পর্যন্ত তেলঙ্গানায় ৮.৫২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
কবিতার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানাল কংগ্রেস। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কন্যা তথা বিআরএস নেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এই যে, তিনি ভোট দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনেই বিআরএস প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। নির্বাচনী বিধি ভাঙা এবং ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগে কবিতার বিরুদ্ধে নালিশ জমা পড়েছে।
ভোট শুরু হওয়ার পরেই ‘গণতন্ত্রের উৎসবকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানালেন মোদী। সকাল ৭টার সময় নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সকলকে ভোটদানের আর্জি জানিয়ে মোদী লেখেন, “আমি বিশেষত যুবক এবং প্রথম যাঁরা ভোট দিচ্ছেন, তাঁদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি যে, আপনারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।”
ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হওয়ার পর ভোট দিলেন তেলঙ্গানার একাধিক নেতা এবং অভিনেতা। সপরিবারে ভোট দিলেন অভিনেতা চিরঞ্জীবী। ভোট দিলেন জুনিয়র এনটিআর, অল্লু অর্জুনও। অভিনেতাদের পাশাপাশি ভোট দিলেন নেতারাও। সকাল সকাল ভোট দিলেন ক্রিকেটার-রাজনীতিক তথা তেলঙ্গানায় কংগ্রেসের প্রার্থী মহম্মদ আজহারউদ্দিন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি, বিআরএস নেত্রী তথা কেসিআর-কন্যা কে কবিতা।
শুক্রবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হল তেলঙ্গানায়। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
কেসিআরের ‘হাতিয়ার’ গত ১০ বছরের নানা জনমুখী কর্মসূচি। আর তার প্রথমেই রয়েছে কৃষকদের জন্য ‘রায়তু বন্ধু যোজনা’। ওই প্রকল্পে প্রত্যেক কৃষককে প্রতি একর শস্য পিছু বছরে ১০ হাজার টাকার অনুদান দেওয়া হয়। প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী প্রচারে গিয়ে সনিয়া জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের ধাঁচে তেলঙ্গানার প্রতি পরিবারের গৃহকর্ত্রী পাবেন মাসে আড়াই হাজার টাকা। এ ছাড়াও আরও নানা প্রতিশ্রুতি করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফ থেকে।
তেলঙ্গানা গড়ার কৃতিত্ব দাবি করে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটেও কেসিআরের বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিল কংগ্রেস। কিন্তু দু’বারই তাদের পর্যুদস্ত হতে হয়েছিল। এ বারেও তার পুনরাবৃত্তি হলে টানা তিন বার হায়দরাবাদের কুর্সিতে বসবেন কেসিআর। ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি বা টিআরএস ৮৮টি আসনে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছিল। এ বার সেই দলের নাম বদলে হয়েছে ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)। এ ছাড়া কংগ্রেস ১৯ এবং তার সহযোগী টিডিপি দু’টি আসনে জিতেছিল। ওয়েইসির মিম ৭, বিজেপি ১ এবং অন্যেরা জিতেছিল ৪টিতে। টিআরএস প্রায় ৪৭, কংগ্রেস ২৮, টিডিপি সাড়ে ৩ এবং বিজেপি প্রায় ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শাসক শিবিরের উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর (গজওয়েল ও কাম্মারেড্ডি), তাঁর ভাইপো তথা মন্ত্রী হরিশ রাও (সিদ্দিপেট) এবং পুত্র তথা মন্ত্রী কে টি রামারাও (সিরসিল্লা)। কাম্মারেড্ডি আসনে কেসিআরের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ রেবন্ত রেড্ডি। আর এক ওজনদার কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি উত্তমকুমার রেড্ডি লড়ছেন হুজুরনগরে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ মহম্মদ আজহারউদ্দিন প্রার্থী হয়েছেন সেকেন্দ্রাবাদের জুবিলি হিলস কেন্দ্রে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমার করিমনগর আসনে প্রার্থী হয়েছেন।
১১৯ আসনের তেলঙ্গানা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ৬০। শাসক দল বিআরএস এ বার ১১৯টি আসনেই প্রার্থী দিলেও কংগ্রেস লড়ছে ১১৮টি আসনে। একটি আসন বাম দল সিপিআইকে ছেড়েছে তারা। যদিও কংগ্রেস দাবিমতো তিনটি আসন না ছাড়ায় রাজ্যের মোট ২৪টি আসনে আলাদা ভাবে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। দলের তেলঙ্গানা রাজ্য সম্পাদক তাম্মিনেনি বীরভদ্রমের অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ের মতো দাক্ষিণাত্যের ওই রাজ্যেও ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলির প্রতি কংগ্রেসের ভূমিকা ‘নমনীয়’ নয়। অন্য দিকে, আর এক বিরোধী দল বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে। আটটি আসন তারা ছেড়েছে জনপ্রিয় তেলুগু অভিনেতা পবন কল্যাণের দল জনসেনাকে।