মিজ়োরামে মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ। ছবি: পিটিআই।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছত্তীসগঢ়ে ভোট পড়েছে ৭০.৯ শতাংশ। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ওই রাজ্যে ভোট পড়েছিল ৭৭ শতাংশ। মিজোরামে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৫.৭ শতাংশ। গত বার হার ছিল ৮১.৫ শতাংশ।
বিকেল ৩টে পর্যন্ত মিজোরামে ভোট পড়ল ৬৯ শতাংশ। এখানে বিকেল ৪টে শেষ হবে ভোট। মোট ভোটারের সংখ্যা ৮.৫৭ লক্ষ। ছত্তীসগঢ়ে বিকেল ৩টে পর্যন্ত ভোটের হাত ৫৯.১৯ শতাংশ।
ছত্তীসগঢ়ের কাঙ্কেরে মাওবাদীদের সঙ্গে বিএসএফ এবং ডিআরজির সংঘর্ষ। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় ভোটের ডিউটি করার সময় নিরাপত্তারক্ষীদের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। পাঁচ থেকে দশ মিনিট চলে গুলির লড়াই। পরে মাওবাদীরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। তাদের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। হামলাকারীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
সুকমায় ভোট চলাকালীন জঙ্গলের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নকশালদের গুলির লড়াই। কয়েক জন জওয়ান আহত হয়েছেন বলে খবর। ওই এলাকায় নকশালরা ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে।
ছত্তীসগঢ়ের সুকমা ভোটের দিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ওই জেলায় নকশালের বিস্ফোরণে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান আহত হন। পরে কোণ্টা এলাকায় নকশালের বিরুদ্ধে নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, তারা ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দিচ্ছে না। ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে নকশাল। জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি)-র সঙ্গে নকশাল বাহিনীর গুলির লড়াই শুরু হয়। দশ মিনিট ধরে তার জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল।
মিজ়োরামের মুখ্যমন্ত্রী জ়োরামথাঙ্গা অবশেষে ভোট দিয়েছেন। আইজ়ল উত্তর-২ কেন্দ্রে তিনি মঙ্গলবার সকালেই ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ইভিএম মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভোট দিতে পারেননি। জানিয়েছিলেন, সকালের কাজ মিটিয়ে পরে ভোট দিতে যাবেন আবার। বেলা ১টার পর তিনি ভোট দিয়েছেন।
ছত্তীসগঢ়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪৪.৫৫ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে ভানুপ্রতাপপুর কেন্দ্রে। সেখানে ১টার মধ্যে ৬১.৮৩ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়ে ফেলেছেন। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে বিজাপুর কেন্দ্রে। সেখানে ১টা পর্যন্ত ভোটের হার মাত্র ২০.০৯ শতাংশ।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দুপুর ১টা পর্যন্ত মিজ়োরামের ৪০টি কেন্দ্রে মোট ৫৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। সেখানে মোট ভোটারের সংখ্যা আট লক্ষ ৫৭ হাজার। বিকেল ৪টে পর্যন্ত ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে।
নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, সকাল ১১টা পর্যন্ত মিজ়োরামে ৩১.৮২ শতাংশ ভোট পড়েছে। এক দফায় মিজ়োরামের ৪০টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে সোমবার।
ভোটের দিন সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ছত্তীসগঢ়ের সুকমা। ওই জেলার কোণ্টা এলাকায় আবার নকশাল হামলার খবর পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ, কোণ্টায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে নকশালরা গুলি ছো়ড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি)।
নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যা অনুযায়ী, সকাল ১১টা পর্যন্ত ছত্তীসগঢ়ের ২০টি কেন্দ্রে মোট ২২.১৮ শতংশ ভোট পড়েছে।
সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে মিজ়োরামে। ৯টা পর্যন্ত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে ভোটের হার ১২.৮০ শতাংশ।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ভোট শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় অর্থাৎ সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ছত্তীসগঢ়ের ২০টি আসনে ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে। সুকমায় সকালে বিস্ফোরণ হওয়ায় পরিস্থিতি থমথমে। প্রথম দু’ঘণ্টায় সেখানে ভোট পড়েছে মাত্র ৪.২১ শতাংশ। ২০টির মধ্যে ১০টি আসনে ভোট শুরু হয়েছে ৭টায়। চলবে ৩টে পর্যন্ত। বাকি ১০টি আসনে সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়েছে। তা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে মিজ়োরামে ভোট শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণ রয়েছে। দু’একটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত গোলমাল ছাড়া কোথাও ভোটগ্রহণ পর্ব ব্যাহত হয়নি। সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলিতে ভোটারদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।
ছত্তীসগঢ়ের ভোট নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকল ভোটারকে তিনি ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। যাঁরা প্রথম বার ভোট দেবেন, তাঁদের শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই বার্তা তিনি দিয়েছেন মিজ়োরামের জন্যেও।
ছত্তীসগঢ়ে ভোট চলাকালীন বিস্ফোরণ। জখম কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান। নকশাল উপদ্রুত সুকমা এলাকায় ভোট শুরুর পরপরই বিস্ফোরণ হয়। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এর নেপথ্যে নকশালদের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভোট শুরু হতেই এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ছত্তীসগঢ়ের যে আসনগুলিতে প্রথম দফায় ভোট হচ্ছে, সেখানকার ভোটারদের প্রতি তাঁর আর্জি, ‘‘আপনারা প্রত্যেকে ভোট দিন এবং এমন এক সরকার নির্বাচন করুন যারা আদিবাসী, কৃষক, দরিদ্রের কথা ভাববে। যারা দুর্নীতি বন্ধ করবে। আপনাদের মূল্যবান ভোট ছত্তীসগঢ়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে দেবে।’’
মিজ়োরামের মুখ্যমন্ত্রী জ়োরামথাঙ্গা সকাল সকাল ভোট দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আইজ়লের বুথ থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, তিনি ভোট দিতে পারেননি। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ভোট দেওয়া সম্ভব হয়নি। বুথ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, সকালের কাজ সেরে পরে এসে ভোট দেবেন। ভোটকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে জ়োরামথাঙ্গা এ-ও জানিয়েছেন, তাঁর দল এমএনএফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ের বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। বিজেপির সঙ্গে তাঁর দলের কোনও যোগ নেই বলেও তিনি জানিয়েছেন।
পড়শি রাজ্য মণিপুরে হিংসার ক্ষত এখনও টাটকা। তার মাঝে মিজ়োরামে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। ভোট উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মিজ়োরামকে। মঙ্গলবার রাজ্যের সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে। ৪০টি কেন্দ্রে মোট ১২৭৬টি বুথে ভোট চলছে।
প্রতি বারের মতোই এ বারও ‘নিয়ম মেনেই’ ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)। ভোটপর্ব শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে ছত্তীসগঢ়ের নারায়ণপুর জেলার প্রভাবশালী বিজেপি নেতা রতন দুবেকে খুন করে ইতিমধ্যেই নিজেদের শক্তি নতুন করে জানান দিয়েছে তারা। এ বার রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে ৭০০ কোম্পানিরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী (প্রতি কোম্পানিতে ১০০ জনেরও বেশি জওয়ান এবং অফিসার থাকেন)।