Narendra Modi

এখন আধুনিক শিক্ষার ক্ষেত্রেও দেশ তাকিয়ে আছে বাংলার দিকে: মোদী

প্রতি বারের থেকে এ বারের বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনেকটাই আলাদা। ২৪ ঘণ্টা আগেও ঘোষণা করা হয়নি অনুষ্ঠান সূচি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১১:১০
Share:

ফাইল ছবি

একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাজ্যে আছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার মধ্যেই শুক্রবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য নরেন্দ্র মোদী। প্রথমবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠান হচ্ছে পড়ুয়াদের উপস্থিতি ছাড়াই।

Advertisement

প্রতি বারের থেকে এ বারের বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনেকটাই আলাদা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অনুষ্ঠান নিয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা আগেও ঘোষণা করা হয়নি অনুষ্ঠান সূচি। ‘দীক্ষান্ত ভাষণ’ কে দেবেন, সেটাও এখনও স্পষ্ট নয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতির দিকে নজর থাকছে সকলেরই।

সম্প্রতি দলের প্রচার, সরকারি কর্মসূচি থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে ফিরে ফিরে এসেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলায় নির্বাচনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর গলায় বারবার বাঙালি আবেগ ছোঁয়া কবিতার পঙতিও শোনা গিয়েছে, যার সিংহভাগই বিশ্বকবির লেখা। উচ্চারণ নিয়ে কেউ কেউ সমালোচনা করলেও, তিনি কথার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের উক্তি ব্যবহার করা বন্ধ করেননি। সব মিলিয়ে বাঙালির পরিচয়ের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে ‘রবীন্দ্র বৈতরণী’-র বৈঠা ঠেলতে শুরু করেছিলেন তিনি। বিশ্বভারতীর সমাবর্তন মোদীর সেই প্রচেষ্টাকে কি নতুন শক্তি দেবে? নজর থাকবে সেই দিকেই।

Advertisement

দুপুর ১১.৫০: বিশ্বভারতীর ‘দিশা-পত্র’ (ভিশন ডটুমেন্ট) তৈরি করে লক্ষ্য মাত্রা স্থির করতে বিশ্বভারতীকে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর। আপনারা আপনাদের পথে সফল হন। আপনাদের স্বপ্ন পূর্ণ হোক। আপনাদের থেকে সারা দেশের চাহিদা অনেক। আপনারা আত্মবিশ্বাসে পূর্ণ। এই সময়ে সারা পৃথিবীতে নিজের স্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের ভূমিকা নিতে হবে, বললেন মোদী।

দুপুর ১১.৪৫: এই বছর বাজেটে গবেষণার জন্য আগামী পাঁচ বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা খরচ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন শিক্ষানীতিতে লিঙ্গ নিরপেক্ষ শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহিলাদের ‘কোডিং’-সহ এমন অনেক বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হবে। এই সব শিক্ষা থেকে মহিলাদের দূরে রাখা হত। বাংলা এক ভারত ও অখণ্ড ভারতের প্রধান কেন্দ্র ছিল। এখন আধুনিক শিক্ষার ক্ষেত্রেও দেশ তাকিয়ে আছে বাংলার দিকে। বাংলার পড়ুয়াদের দিকে তাকিয়ে আছে।

দুপুর ১১.৪৩: ইংরেজের সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীতে যে শিক্ষা পদ্ধতির সূচনা করেছিলেন, তা ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। নতুন শিক্ষানীতি দেশের ছাত্রদের আলাদা আলাদা বিষয়ে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এই শিক্ষানীতি গবেষণাকে শক্তি যুগিয়েছে। আত্মনির্ভর ভারতের নির্মাণে কেন্দ্রে নতুন শিক্ষানীতি এক নতুন পদক্ষেপ।

দুপুর ১১.৩৯: বিশ্বভারতীর শতবর্ষেও আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। গান্ধীবাদী ‘ধর্মপালজির’ কথা বললেন মোদী। তাঁর একটি লেখার কথা উল্লেখ করলেন মোদী। থমাস মুনরোকে নিয়ে লেখা একটি রচনার কথাও বললেন মোদী। সেই লেখাতেই আছে, প্রাচীন কালে মন্দির কেবল পুজোর স্থান ছিল না, ছিল গুরুকুল। সেখানে শিক্ষার কাজও চলত। ভারতে ব্রিটিশ শিক্ষা পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার আগে ভারতেও শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত ছিল। থমান মুনরো দেখেছিলেন, ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা কতটা শক্তিশালী। ১৮৩০ সালের আগে বাংলায় এক লক্ষের বেশি গ্রামীণ বিদ্যালয় ছিল।

দুপুর ১১.৩৮: দেশের প্রতি নিষ্ঠা থাকলে, আপনার প্রতিটি আচরণ, শিক্ষা কোনও না কোনও সমাধানের দিকেই ইঙ্গিত করবে। প্রতিবারই সফল হবেন, এমন নয়। সিদ্ধান্ত ও ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা না থাকলে হবে না। ততদিন আমার চিন্তা নেই, যতদিন দেশের যুব শক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্ষমতা আছে। তার জন্য সরকার ও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আমি সবসময় থাকব।

দুপুর ১১.৩৫: মোদী মনে করিয়ে দিলেন, কোনও একজনের জ্ঞান, তাঁর নিজের নয়, সমাজের। জ্ঞান সমাজকে উন্নতির দিকেও নিয়ে যেতে পারে, অন্ধকারেও ঠেলতে পারে। যাঁরা পৃথিবীতে হিংসা ছড়াচ্ছেন, তাঁদের মধ্যেও উচ্চশিক্ষিত রয়েছেন। আবার অন্যদিকে এমনও উচ্চশিক্ষিত আছেন, যাঁরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনে রয়েছেন। এটা মানসিকতার প্রশ্ন। আপনি কী করবেন, সেটা নির্ভর করে আপনার ভাবনার উপর। আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি সমাধানের অংশ হবেন, না সমস্যার। সৎ কাজে শিক্ষা ব্যবহার করলে এক ফল পাওয়া যাবে, অসৎ কাজে ব্যবহার করলে অন্য ফল মিলবে। নিজের স্বার্থ থেকে উপরে উঠতে হবে, দেশেকে প্রাধান্য দিলেই সব কিছুর সমাধানের রাস্তা খুঁজে পাওয়া যাবে।

দুপুর ১১.৩৩: সমাজের সব স্তরের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বিশ্বভারতী নিজের মধ্যেই এক জ্ঞানের উন্মুক্ত সমুদ্র। জ্ঞানের কোনও সীমা নেই, সেই ভাবনা থেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা করেছিলেন। জ্ঞান, বিচার পাথরের মতো অচল নয়, সচল। বিশ্বের জ্ঞানের কথা ভেবেছিলেন বলেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই প্রতিষ্ঠানের নাম রেখেছিলেন বিশ্বভারতী।

দুপুর ১১.৩০: ‘আলো আমার আলো ওগো, আলোয় ভূুবন ভরা’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তি তুললেন মোদী। বিভিন্নতার মধ্যে নিজেকে খোঁজার চেষ্টার কথা বলতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতের বিভিন্নতার গৌরব গাথা গাইতেন রবীন্দ্রনাথ।

দুপুর ১১.২৮: দেশের অখণ্ডতাকে বজায় রাখতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা শুধু বিশ্বভারতীর অংশ নন, তাঁরা বিশ্বের অংশ। সারা পৃথিবীর সঙ্গে এর যোগ।

দুপুর ১১.২৭: শিবাজি জন্মজয়ন্তীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা বললেন নরেন্দ্র মোদী। শান্তিনিকেতনের পবিত্র ভূমিকে প্রণাম। ছত্রপতি শিবাজির একতার মন্ত্রকে স্মরণ মোদীর। রবীন্দ্রনাথের অখণ্ড ভারতের ভাবনা মনে রাখতে হবে, বললেন মোদী।

দুপুর ১১.২২: বক্তব্য শুরু করলেন নরেন্দ্র মোদী। বললেন, সশরীরে সমাবর্তনে উপস্থিত থাকতে পারলে আরও ভাল লাগত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement