শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার পর শনিবার রাত থেকে বাহানগায় শুরু হয়েছিল লাইন মেরামতির কাজ। — ফাইল ছবি।
বালেশ্বর দুর্ঘটনার কারণে বুধবারও ৯টি ট্রেন বাতিল করেছে ভারতীয় রেল। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বাহানগা বাজার স্টেশনে লাইন মেরামতির কারণে বন্ধ থাকবে ট্রেনগুলি। যদিও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আশাবাদী ছিলেন, বুধবার সকাল থেকে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বুধবার ২২৮৫৪ বিশাখাপত্তনম-শালিমার এক্সপ্রেস, ১২৮৮২ পুরী-শালিমার এক্সপ্রেস, ১৮৪১০ পুরী-শালিমার শ্রী জগন্নাথ এক্সপ্রেস, ১২৮৪২ এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল এক্সপ্রেস, ২২৮৪২ তাম্বারাম-সাঁতরাগাছি এক্সপ্রেস, ১৮০৪৬ হায়দরাবাদ-শালিমার ইস্টকোস্ট এক্সপ্রেস, ২২৬০৬ ভিল্লুপুরম-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, ১২৮৪০ এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল-হাওড়া মেল, ১২৮৬৮ পুদুচেরি-হাওড়া এক্সপ্রেস। ২০৮৩১ শালিমার-সম্বলপুর এক্সপ্রেস ভিন্ন পথে চলবে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা বালেশ্বরের বাহানগা স্টেশনে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। মালগাড়িকে পিছন থেকে গিয়ে ধাক্কা মেরেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনের ইঞ্জিন মালগাড়ির উপর উঠে যায়। সেই ধাক্কার অভিঘাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লাইনে পড়ে যায়। তখন সেখানে ধাক্কা মারে উল্টো দিক থেকে আসা হাওড়া-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ২৮৮ জনের। দুর্ঘটনার জেরে দুমড়ে-মুচড়ে যায় রেললাইন। তাই বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল।
উদ্ধারকাজ শেষে শনিবার থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য কাজ শুরু করেন রেলকর্মীরা। রবিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ডাউন লাইনে প্রথমে একটি মালগাড়ি চালানো হয়। এর পর রাত ১১টা ৩৯ মিনিটে চালানো হয় আরও একটি মালগাড়ি। আপ লাইনে প্রথম ট্রেনটি চালানো হয় রাত ১২টা বেজে ৫ মিনিটে। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সোমবার সকালে ওই রেলপথে চলে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিছুটা পরে আপ লাইন দিয়ে যায় ফলকনুমা এক্সপ্রেসও। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রেলপথ সারানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে সোমবার। সে দিন ওই লাইন দিয়ে ৪০টির বেশি ট্রেন চলাচল করেছে। তবে ঘটনাস্থলে ট্রেনের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় মাত্র ১০ কিলোমিটার। মঙ্গলবারও ওই লাইনে বাতিল বেশ কিছু ট্রেন। বুধবার বাতিল ট্রেনের সংখ্যা চার।