মাকে ধর্ষণ ছেলের! আমৃত্যু কারাদণ্ড দিল আদালত। প্রতীকী ছবি।
জন্মদাত্রী মাকে কয়েক বছর ধরে ধর্ষণ করে গিয়েছিল ছেলে। অভিযোগ, মাকে আত্মহত্যা করতেও প্ররোচনা দিয়েছিল সে। চার বছর আগের সেই মামলায় রায় জানাল হরিয়ানার একটি দায়রা আদালত। এ ক্ষেত্রে বিচারক রাহুল বিষ্ণোইয়ের পর্যবেক্ষণ, যে ছেলের মাকে ছাতার মতো সুরক্ষা দেওয়া উচিত, সেই ছেলেই পশুর মতো আচরণ করেছে। ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার কারণে ওই ব্যক্তিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর হরিয়ানার একটি গ্রামে আত্মহত্যা করেন বছর ৫৫-র এক মহিলা। ওই মহিলার স্বামী থানায় অভিযোগ দায়ের করে দাবি করেন, তাঁর স্ত্রীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। পরে এই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে ওই মহিলার বড় ছেলে মাদকাসক্ত। মাদক কেনার টাকা চাইতে পরিবারের সদস্যদের উপর অত্যাচার করতেন তিনি। মত্ত অবস্থায় নিয়মিত মাকেও ধর্ষণ করতেন। ওই ব্যক্তির মা আত্মহত্যা করার পর তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। সেখানেও ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে আদালতে জানায় পুলিশ।
ধর্ষণের দায়ে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর কুড়ি আগে ওই মহিলার স্বামী মারা যান। তারপর দেওরকে বিয়ে করেন তিনি। তাই নিয়েও মাকে কথা শোনাত ছেলে। শারীরিক নিগ্রহে বাধা দিলে মারধর করা হত। আগেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল পুলিশ। গোটা তদন্তপ্রক্রিয়ায় আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী মিলিয়ে প্রায় ১৮ জন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।