Crime

হস্টেলে টেনে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ, ঝাঁসির কলেজের আট ছাত্রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজার পাশাপাশি দোষীদের থেকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার অর্ধেক পরিমাণ নির্যাতিতাকে দেওয়া হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২২ ১৬:০৮
Share:

২০২০ সালে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। প্রতীকী ছবি।

নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ঝাঁসির সরকারি পলিটেকনিক কলেজের আট ছাত্রকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজার নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত। ২০২০ সালে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনাতেই সোমবার সাজা ঘোষণা করল বিশেষ পকসো আদালত।

Advertisement

আমৃত্যু কারাবাসের সাজার পাশাপাশি দোষীদের থেকে মোট ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার অর্ধেক পরিমাণ নির্যাতিতাকে দেওয়া হবে। এই বর্বরোচিত অপরাধে আট অভিযুক্ত যুবককেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এ কথা জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি বিজয়কুমার কুশওয়াহা।

এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রোহিত সাইনিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বাকি সাত জন হল ভরত কুমার, সঞ্জয় কুশওয়াহা, ধর্মেন্দ্র সেন, মনু পারিয়া, ময়াঙ্ক শিবহারে, শৈলেন্দ্র নাথ পাঠক ও বিপিন তিওয়ারি। বিশেষ বিচারপতি নীতেন্দ্রকুমার সিংহের আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

Advertisement

করোনা অতিমারির সময় ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর বন্ধুর সঙ্গে টিউশন পড়তে যাচ্ছিল নাবালিকা। সে সময় তাদের জোর করে টেনে হস্টেলের মধ্যে নিয়ে যায় দোষীরা। নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয়। তার বন্ধুকে মারধর করা হয়। ঘটনার সময় হস্টেলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন সাব ইনস্পেক্টর বিক্রান্ত সিংহ। মেয়েটির চিৎকার শুনে অকুস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন ওই পুলিশকর্মী। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। দ্রুত মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের পাকড়াও করা হয়। গ্রেফতারের পর অভিযুক্তদের জেলে পাঠানো হয়েছিল। তাদের জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। মূল অভিযুক্ত রোহিতের সঙ্গে নাবালিকার ডিএনএ নমুনা মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement