প্রতীকী ছবি
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যথেষ্ট সংখ্যার করোনা পরীক্ষা করাচ্ছে না। কারণ, পরীক্ষা করালেই করোনা-পজ়িটিভের সংখ্যা বেড়ে যাবে। উল্টো দিকে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের নিজের রাজ্য গুজরাতের সরকারই মেনে নিচ্ছে, বেশি সংখ্যায় করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে না। যুক্তি, বেশি পরীক্ষা হলে ৭০ শতাংশই পজ়িটিভ বেরোবে। তাতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াবে। কারণ করোনা-সংক্রমিতের সংখ্যায় গুজরাত এখন মহারাষ্ট্র-তামিলনাড়ুর পরেই। মৃতের সংখ্যায় মহারাষ্ট্রের পরেই। গুজরাতে এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮৫৮ জনের। রবিবারই ২৯ জন মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে ২৮ জনই আমদাবাদে।
তার পরেও কেন আমদাবাদে যথেষ্ট সংখ্যায় নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে না, তা নিয়ে আমদাবাদের হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলির সংগঠন প্রশ্ন তুলেছে। তাদের বক্তব্য, রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের কাছে নমুনা পরীক্ষার অনুমতি চাইলে তিন দিন পরে সাড়া মিলছে। তা-ও মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল, নার্সিং হোমগুলি অবিলম্বে এই পরীক্ষা-নীতি বদলের দাবি তুলেছে। যা নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। সেখানে গুজরাত সরকারের অ্যাডভোকেট জেনারেল কমল ত্রিবেদী নিজেই বলেন, পরীক্ষা ইচ্ছাকৃত ভাবেই কম করানো হচ্ছে। বিজেপি নেতৃত্ব এতে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছেন। গুজরাত হাইকোর্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, বিশেষ করে আমদাবাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কড়া সমালোচনা করেছে। আমদাবাদের বড় অংশ অমিত শাহের সংসদীয় কেন্দ্র গাঁধীনগরের মধ্যে পড়ে। ফলে নরেন্দ্র মোদীর ‘গুজরাত মডেল’ নিয়েই প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস।