চিতাবাঘের হামলায় প্রাণ গেল তিন বছরের শিশুর। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাড়ির উঠোনে দাদার সঙ্গে খেলছিল তিন বছরের শিশু। খেলতে খেলতে বল চলে যায় বাড়ির পিছনে। সেই বল আনতে গিয়েই বিপত্তি। সেখানেই ওত পেতে ছিল একটি চিতাবাঘ। ঘাড়ে কামড় দিয়ে টানতে টানতে শিশুটিকে নিয়ে যায় জঙ্গলে। চিৎকার করে ডাকারও সুযোগ পায়নি সে! পরে উদ্ধার হয় দেহ। উত্তরাখণ্ডের পুরওয়াল গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকেলে। মৃতের নাম রাজ।
মানুষখেকো চিতাবাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে উত্তরাখণ্ডের পুরওয়াল গ্রামের বাসিন্দাদের। গ্রামের বাসিন্দা অঙ্কিত কুমারের ছেলে রাজ। রবিবার খেলতে খেলতে চিতাবাঘের কবলে পড়ে সে। অনেক ক্ষণ রাজের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে চিন্তায় পড়েন পরিবারের সদস্যেরা। খুঁজতে খুঁজতে বাড়ির পিছনে দিকে গিয়ে মাটিতে রক্ত দেখতে পান। খোঁজাখুঁজির পর বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে একটি ঝোপের আড়াল থেকে রাজের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গ্রামে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তেহরি বন দফতরের আধিকারিক আশিস নাউতিয়াল। তিনি জানান, ওই শিশুর শরীরে ক্ষত থেকে স্পষ্ট সে কোনও চিতাবাঘের কবলেই পড়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত ওই চিতাবাঘের কোনও সন্ধান মেলেনি। তার খোঁজে জঙ্গলের মধ্যে তল্লাশি অভিযান চালানো হবে। ফাঁদ পেতে তাকে ধরার চেষ্টা করবেন বনকর্মীরা। মানুষখেকোর আতঙ্কে তটস্থ গ্রামবাসী। রাত জাগা শুরু করেছেন গ্রামের পুরুষেরা। রাতে বাড়ির বাইরে অন্ধকারে যেতে নিষেধ করা হয়েছে গ্রামবাসীদের।