জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে হানা দিল চিতাবাঘ। ফাইল ছবি।
জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে হানা দিল চিতাবাঘ। বনকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ চলল তার লড়াই। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পরেও তাকে বাগে আনা যায়নি। বরং বনকর্মীদের হাত ফস্কে পালিয়ে গিয়েছে বাঘটি। তার খোঁজ চলছে।
অসমের তেওক এলাকায় সোমবার সকালে হানা দেয় একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ। প্রথমে সে এক মহিলাকে আক্রমণ করে। মহিলার দুই মেয়েও চিতাবাঘের হামলায় ঘায়েল হয়েছেন। তাঁদের গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
চিতাবাঘ লোকালয়ে বেরিয়ে এসেছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বনকর্মীরা। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে বাঘটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু বন দফতরের গাড়ি দেখে সে দিকেই হামলা করে চিতাবাঘ। বনকর্মীদের গাড়ির উপর লাফিয়ে পড়ে সে। তার থাবায় জখম হন গাড়িতে থাকা এক বনকর্মী।
চিতাবাঘটিকে ভয় দেখানোর জন্য পর পর ৭ রাউন্ড গুলি চালান বনকর্মীরা। গুলির শব্দে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় চিতাবাঘ। প্রথমে জোরহাটের রেনফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কোয়ার্টারের বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছিল সে। তার পর পাঁচিল টপকে আবার চিতাবাঘটি রাস্তায় লাফিয়ে পড়ে।
একটি গাড়ির উপর লাফিয়ে পড়েছিল বাঘটি। তবে গাড়ির কাচ নামানো থাকায় নতুন করে সেখানে কোনও বিপদ হয়নি। এর পর এক লাফে বাঘটি জঙ্গলে চলে যায়। এখনও তার খোঁজ চালাচ্ছেন বনকর্মীরা।
বাঘের হামলায় যে বনকর্মী জখম হয়েছেন, তাঁকে জোরহাট মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।