নিজস্ব চিত্র
মমতার গোয়া সফরের দ্বিতীয় দিনেই চমকে দিল তৃণমূল। নাফিসা আলির তৃণমূল-যোগ স্পষ্ট হয়েছিল কয়েকদিন আগেই, কিন্তু লিয়েন্ডার পেজের যোগদান চমকপ্রদ ঘটনা। রাজনীতির আঙিনায় টেনিস তারকাকে এর আগে কখনও দেখা যায়নি। সেই লিয়েন্ডার গলায় তৃণমূলের উত্তরীয় নিয়ে বললেন, ‘‘দিদি সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন।’’
সাংবাদিক বৈঠকের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিস্তারিত বলার পরে শেষে সামান্য কয়েকটি কথা বলেন লিয়েন্ডার। তুলে আনেন ইতিহাসের প্রসঙ্গ। ১৯৯১ সালে কেন্দ্রে ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মমতা। সেই ইতিহাস উল্লেখ করে লিয়েন্ডার বলেন, ‘‘আমি ১৪ বছর বয়সে যখন ভারতের জন্য টেনিস খেলতে যাই, তখন দিদি ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলেন। সব সময় উৎসাহ দিতেন। মন্ত্রী হিসাবে সবসময় পাশে থাকতেন। আমি গত ৩০ বছর ধরে বিশ্বে আমাদের দেশের নাম উজ্জ্বল করতে চেষ্টা করেছি টেনিসের মাধ্যমে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছি, খেলেছি দেশের জন্য।’’
১৮টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম ও একটি অলিম্পিক্স মেডেল জেতা দীর্ঘ কেরিয়ারে ২০২০ সালের পর আর কোনও ম্যাচ খেলেননি লিয়েন্ডার। সরসারি অবসরও ঘোষণা করেননি। শুক্রবার তিনি বললেন, ‘‘আজ অবসরের পর আমি চাইব এক মহিলা, যিনি বিপুল সাহসে এগিয়ে চলেছেন, তাঁর পাশে দাঁড়াতে। আমি চাইব রাজনীতির মাধ্যমে দেশের মানুষের সেবা করতে। চেষ্টা করব দেশের যুব সমাজের হয়ে কাজ করতে। সেই কারণে আমি দিদির সঙ্গে এসে যোগ দিয়েছি। আমার কাছে দিদি সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। এ দেশে জাত-ধর্ম-বর্ণের ভিত্তিতে কোনও বিভাজন তৈরি করা যায় না। আমি সেই বৃহত্তম গণতন্ত্রের একটা অংশ হতে চাই, কাজ করতে চাই। সেই কাজে দিদির পাশে দাঁড়াতে চাই।’’