Assam

বর্ষণে ধস, বরাকে মৃত ২০

গত রাত থেকেই অঝোরে বৃষ্টি। একের পর এক টিলা ধসে পড়েছে। বরাক উপত্যকার তিন জেলায় টিলা ভেঙে ঘর চাপা পড়ে মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাইলাকান্দি জেলাতেও মৃতের সংখ্যা ৭।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২০ ০৩:১৫
Share:

ধস থেকে উদ্ধারের কাজ চলছে। ছবি সৌজন্য টুইটার।

বুক-পিঠ মাটিচাপা, মাথাটা বেরিয়ে আছে। একহাত মাটির তলায়, আর এক হাত ওপরে। ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে আর্ত চিৎকার করছিলেন ৪৫ বছর বয়সি তাইমুন্নেসা লস্কর। প্রতিবেশীরা তাঁকে টেনেটুনে বের করে পাঠান জয়পুর হাসপাতালে।

Advertisement

গত রাত থেকেই অঝোরে বৃষ্টি। একের পর এক টিলা ধসে পড়েছে। বরাক উপত্যকার তিন জেলায় টিলা ভেঙে ঘর চাপা পড়ে মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাইলাকান্দি জেলাতেও মৃতের সংখ্যা ৭। করিমগঞ্জে ৬। নিহতদের মধ্যে ৮ টি শিশুও রয়েছে। জখম ১৫ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জয়পুরে পরিবারের দুই সদস্য বেঁচে গেলেও করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে দুটি পরিবারের সবাই প্রাণ হারান। বৃষ্টির দরুণ লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনেরও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসে লাইনের উপরে পড়ে। রেলকর্তারা জানিয়েছেন, অনির্দিষ্ট কালের জন্য পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ। আগরতলা ও জিরিবামমুখী দুটি শ্রমিক স্পেশালকে লামডিঙ ও গুয়াহাটিতে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিজোরামের ভৈরবী থেকে বিহারের আধিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল আর একটি শ্রমিক স্পেশাল। সেই ট্রেনটিকে বদরপুর থেকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগরতলা থেকে যে রাজধানী এক্সপ্রেস কাল ছেড়েছিল, তাও বদরপুর থেকে আগরতলা ফেরত পাঠানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল মৃতদের পরিবারকে দ্রুত এককালীন অর্থ পৌঁছে দিতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন।।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement