বিহারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণটোকাটুকি ও তাতে সরাসরি অভিভাবকদের মদত নিয়ে সারা দেশে যখন সমালোচনার ঝড় বইছে, ঠিক তখনই তা প্রতিরোধে নয়া দাওয়াই বাতলালেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ।
এবং যথারীতি এই লালু-দাওয়াইয়ে এক্কেবারে তাঁর নিজস্ব ছাপ। লালুর বক্তব্য, “আমি হলে পরীক্ষার হলে ওই ছেলে-মেয়েদের বই দিয়ে দিতাম। বলতাম বই দেখে উত্তর লেখ।” এরপরেই লালু ব্যাখ্যা দিয়েছেন, “যারা পড়াশোনা করে তারাই একমাত্র বই হাতে পেলে তার প্রকৃত ব্যবহার করতে পারে। কারণ উত্তর তাদের জানা এবং বইয়ের কোথায় উত্তর রয়েছে তাও তাদের জানা। আর যারা পড়াশোনা না করেই পরীক্ষার হলে গিয়েছে তারা ওই বই থেকে উত্তর বের করতে করতেই তো তিন ঘণ্টা পার হয়ে যাবে।”
এই ঘটনায় দেশে-বিদেশে বিহারের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে যে ধারণা তৈরি হচ্ছে তাতে দুঃখিত লালু অভিভাবকদের সমালোচনা করে বলেন, ওরা অভিভাবক না ছিপকালি (টিকটিকি)। যে ভাবে দেওয়াল বেয়ে উঠেছে তাতে সেই রকমই মনে হচ্ছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পি কে শাহি এই ঘটনায় নিজেদের অসহায়তার কথা জানিয়ে বলেছেন, শুধু পুলিশ দিয়ে সরকারের একার পক্ষে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। অভিভাবক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সহায়তা প্রয়োজন। লালু আজ বক্সারের এক দলীয় সভায় শাহির মন্তব্যের সমালোচনা করেন।
লালুর মন্তব্য সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাজ্যের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল মোদী বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হলে বইয়ের ব্যবহার আছে। তবে সে ক্ষেত্রে যুক্তি ওই একটাই, পড়াশোনা করলে তবেই বইয়ের উত্তর খুঁজে পাওয়া সম্ভব।” তবে এ ক্ষেত্রে যে বিষয়টি তা নয় তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মোদীর বক্তব্য, “এই ঘটনা বিহারের পক্ষে অপমানজনক।”
তিনি নীতীশ সরকারকে কটাক্ষ করেন: ওঁরা বিহার দিবস পালন করছেন, সুশাসনের কথা বলছেন। এটা তারই এক নমুনা।