৯৫০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মোট পাঁচটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লালু। ১৯৯৬ সালে এই কেলেঙ্কারির বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন প্রাণীসম্পদ দফতরের ডেপুটি কমিশনার অমিত খারে। ১৯৯৭ সালে সিবিআই লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট আনে।
ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দিল্লির এমসে ভর্তি করানো হয়েছে। মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বলে জানিয়েছেন রাঁচীর রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (রিমস)-এর অধিকর্তা কামেশ্বর প্রসাদ।
রিমস অধিকর্তা বলেন, “লালুপ্রসাদের হৃদ্যন্ত্রে এবং কিডনিতে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আরও ভাল চিকিৎসার জন্য তাঁকে দিল্লির এমসে পাঠানো হচ্ছে।”
ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি লালুকে পাঁচ বছরের জন্য কারাদণ্ড দিয়েছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয় তাঁকে। গত ১১ মার্চ জামিনের আবেদন করেছিলেন লালু। কিন্তু তাঁর সেই আবেদন ১ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, এর আগে পশুখাদ্য সংক্রান্ত দুমকা, দেওঘর এবং চাইবাসা ট্রেজারির চারটি তহবিল তছরুপ মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল লালুকে। অবশ্য শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিনে ছিলেন তিনি।
৯৫০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের মোট পাঁচটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লালু। ১৯৯৬ সালে এই কেলেঙ্কারির বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন প্রাণীসম্পদ দফতরের ডেপুটি কমিশনার অমিত খারে। ১৯৯৭ সালে সিবিআই লালুপ্রসাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট আনে।