—ফাইল চিত্র।
লালু প্রসাদের কিডনি স্বাভাবিক কার্যক্ষমতার ২৫ শতাংশে কাজ করছে বলে জানালেন তাঁর চিকিৎসক উমেশ প্রসাদ। তাঁর মতে, যে কোনও সময়ে আরজেডি নেতার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় আত্মসমর্পণ করার পরে ২০১৮ সালের ৩০ অগস্ট রাঁচীর রিমসে ভর্তি করা হয় লালু প্রসাদকে। গত কাল আরজেডি নেতার শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে নিজের মতামত জানিয়েছেন উমেশ। তিনি বলেছেন, ‘‘ওঁর কিডনি যে স্বাভাবিক কর্মক্ষমতার ২৫ শতাংশে কাজ করছে তা
আমি আগেই জানিয়েছিলাম। যে কোনও সময়েই কিডনির পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। কখন হবে তা বলা কঠিন।’’
উমেশের মতে, লালু ২০ বছর ধরে ডায়াবিটিসে ভুগছেন। ফলে তাঁর যা শারীরিক ক্ষতি হয়েছে তা আর সারানো সম্ভব নয়। তাঁকে অন্য হাসপাতালে সরালেও কোনও লাভ হবে না। তবে তাঁকে অন্য হাসপাতালে সরানো হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত ও সরকার। সরালে তাঁর বড় কোনও শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কাও নেই বলে জানিয়েছেন প্রসাদ। হাসপাতালে কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে লালুর ভবিষ্যৎ চিকিৎসার পরিকল্পনা তৈরি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার লালুর জামিনের আর্জি খতিয়ে দেখে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে আদালত।