প্রতীকী ছবি।
ললিতপুরের ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বুধবার কমিশন সে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনাটির রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও। ১৩ বছরের এক কিশোরীকে থানায় ধর্ষণের ঘটনা কী ভাবে ঘটল, তা আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে কমিশনকে জানাতে বলা হয়েছে মুখ্যসচিবকে।
ললিতপুরে এক কিশোরীকে থানায় ধর্ষণের ঘটনার কথা বুধবার সকালেই প্রকাশ্যে আসে। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই কিশোরী থানায় গণধর্ষণের রিপোর্ট লেখাতে এসেছিল। অভিযোগ, থানার ভিতরেই তাকে ফের ধর্ষণ করে ওসি তিলকধারী সরোজ। খবরটি প্রকাশ্যে আসার পরই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঘটনাটির রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। যদিও ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ওই পুলিশ আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে আরও ২৯ জন পুলিশকর্মীকে।
অন্য দিকে, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিলকধারী সরোজ নামে ওই আধিকারিককে উত্তরপ্রদেশেরই প্রয়াগরাজ থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, তিন দিন ধরে চার ব্যক্তি ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। সেই অভিযোগ জানাতেই থানায় এসেছিল সে। পরে থানার ঘটনাটি সে জানায় একটি অসরকারি সংস্থাকে। মঙ্গলবার ওই সংস্থা এ নিয়ে মামলা দায়ের করে। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে গোটা বিষয়টি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্থানীয় ওই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ঘটনাটির রিপোর্ট তলব করেছে।