Lakshadweep MP

১০ বছরের সাজা স্থগিত! রাহুল বিতর্কের মধ্যেই সাংসদ পদ ফেরত পেলেন লক্ষদ্বীপের এনসিপি নেতা!

ফয়জ়ল এবং তাঁর দল এনসিপি লোকসভার সচিবালয়ের কাছে তাঁর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। অবশেষে সংসদে সাংসদ হিসাবেই ফিরলেন লক্ষদ্বীপের সাংসদ ফয়জ়ল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৩ ১৩:২৬
Share:

সংসদে ফিরলেন লক্ষদ্বীপের পদ খোয়ানো সাংসদ, নয়া অস্ত্র পেলেন রাহুল গান্ধী? ফাইল চিত্র।

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে বিতর্কের আবহেই সাংসদ পদ ফিরে পেলেন আর এক অভিযুক্ত সাংসদ মহম্মদ ফয়জ়ল। লক্ষদ্বীপের এই এনসিপি সাংসদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল। নিম্ন আদালত ফয়জ়লকে দশ বছরের সাজার কথা শোনায়। তারপরই ১৩ জানুয়ারি তাঁর সাংসদ পদ খারিজের কথা ঘোষণা করে লোকসভার সচিবালয়। ১৮ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন কমিশন লক্ষদ্বীপ আসনে উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে। কিন্তু তার আগেই কেরল হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয়। ফয়জ়ল এবং তাঁর দল এনসিপি লোকসভার কাছে তাঁর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। অবশেষে সংসদে সাংসদ হিসাবেই ফিরলেন ফয়জ়ল। এই ঘটনা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের হাতে নয়া অস্ত্র তুলে দিল বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞমহলের একাংশ।

Advertisement

২০১৬ সালে ফয়জ়লের বিরুদ্ধে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিএম সইদের এক আত্মীয়কে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়। যদিও যে ঘটনার কথা অভিযোগে বলা হয়, সেটি ২০০৯ সালের। ফয়জ়ল অবশ্য বার বার দাবি করেছেন যে, চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পরে ফয়জ়লের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়। ১১ জানুয়ারি নিম্ন আদালত তাঁকে দশ বছরের সাজার কথা শোনায়। কিন্তু নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ফয়়়জ়ল কেরল হাই কোর্টে গেলে উচ্চ আদালত আগের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। এনসিপির অভিযোগ, ফ়য়জ়লের সাংসদ পদ ফিরিয়ে দিতে গড়িমসি করেছে লোকসভা। এই বিষয়ে উদ্যোগী হয়ে শরদ পওয়ার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠিও দিয়েছিলেন। এই মামলাটি কয়েক দিন পরেই সুপ্রিম কোর্টে ওঠার কথা।

Advertisement

১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী, আইনসভার কোনও প্রতিনিধি কোনও অপরাধের জন্য দু’বছর বা তার বেশি সাজা পেলে তাঁর সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভোটে দাঁড়ানোতেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তবে উচ্চ আদালত আগের রায়ে স্থগিতাদেশ দিলে বা খারিজ করে দিলে সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মোদী পদবি নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের জেরে সুরাতের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২ বছরের সাজার কথা শুনিয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। পাশাপাশি, উচ্চ আদালতে আবেদন করার জন্য এক মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস শিবিরের একাংশ মনে করছে, উচ্চ আদালত রাহুলের সাজা খারিজ বা স্থগিত করলে কংগ্রেস নেতার সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার জন্য ফয়জ়লের উদাহরণকে সামনে রাখতে পারবেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement