চলচ্চিত্র পরিচালক আয়েশা সুলতানা ছবি সৌজন্যে টুইটার।
লক্ষদ্বীপের প্রশাসকের সমালোচনা করায় দেশদ্রোহের মামলা দায়ের হয়েছে চলচ্চিত্র পরিচালক আয়েশা সুলতানার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ‘মিথ্যে’ ও ‘অনৈতিক’ বলে দাবি করে বিজেপি ছাড়লেন দলের একাধিক নেতা। তাঁদের মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ মুল্লিপুঝাও রয়েছেন।
লক্ষদ্বীপের বিজেপি সভাপতি আব্দুল খাদেরকে একটি চিঠি লিখে নিজেদের পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন নেতারা। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘যে সময়ে লক্ষদ্বীপের প্রশাসক প্রফুল্ল পটেলের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, সেই সময় আপনারা আয়েশার বিরুদ্ধে মিথ্যে ও অনৈতিক অভিযোগ আনছেন। এতে মেয়েটির ভবিষ্যৎ ও তাঁর পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। তাই আমরা পদত্যাগ করছি। লক্ষদ্বীপের মানুষের সঙ্গে মিলে আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে।’
আয়েশার বক্তব্য ছিল, অতিমারির প্রথম ঢেউয়ে লক্ষদ্বীপে একটিও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। কিন্তু গত ডিসেম্বরে প্রফুল্ল পটেল নতুন প্রশাসক হয়ে আসার পর থেকেই একের পর এক তুঘলকি আইন-বিধি চালু হচ্ছে লক্ষদ্বীপে। যার জেরে দ্বিতীয় ঢেউয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। তাঁর অভিযোগ, লক্ষদ্বীপের মানুষদের উপর আঘাত হানতে করোনাভাইরাসকেই ‘জৈব অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে কেন্দ্র।
টিভি চ্যানেলের বিতর্কসভায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্যের অভিযোগে চলচ্চিত্র পরিচালক আয়েশার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করেছে বিজেপি-র লক্ষদ্বীপ শাখা। আয়েশার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা ছাড়াও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ আনা হয়েছে। এখন, এই পদক্ষেপের বিরোধিতা দেখা গেল বিজেপি-র অন্দরেই।