প্রতীকী ছবি।
এক যুবকের বিরুদ্ধে দু’বার ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু বক্তব্যে বারবার অসঙ্গতি পড়ায় এবং অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায়, উল্টে ওই মহিলাকেই এক লক্ষ টাকা জরিমানা করলেন বিচারক। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে মণিপুরের সিংজামেই থানায় ওক্রাম বীরজিৎ সিংহ নামে ২৪ বছরের যুবকের বিরুদ্ধে দু’বার দরজা ভেঙে ঢুকে ধর্ষণ করা ও ভয় দেখানোর অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই মহিলা। বিধবা ও দুই সন্তানের মা ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বীরজিৎকে গ্রেফতার করে। সম্প্রতি ইম্ফলে নারীদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরি হয়েছে। সেখানেই মামলাটি চলছিল। বিচারক এ নতুনেশ্বরী দেবী শুনানি শেষে রায় দেন, ওই মহিলার অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্য নয়।
আরও পড়ুন: মোহভঙ্গ! ডেরা ছাড়ছেন ভক্তরা, ‘বাবা’র ছবির ঠাঁই হচ্ছে নর্দমায়
আরও পড়ুন: কোথায় হানিপ্রীত? লুক আউট নোটিস জারি করল হরিয়ানা পুলিশ
যে সময়ের ঘটনা বলে দাবি করেছিলেন, অভিযোগ করেছিলেন তার অনেক পরে। ডাক্তারি পরীক্ষায় কিছু প্রমাণ হয়নি। তদন্তের সময় বারবার বয়ানও বদলেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত জানিয়েছেন, শাশুড়ির চাপে বাধ্য হয়ে মিথ্যে অভিযোগ করেছেন। কখনও বলেছেন, তাঁদের বাড়ি থেকে তাড়াতে শাশুড়িই এ সব করেছেন। মিথ্যে অভিযোগে ওই যুবককে ফাঁসানোর জন্য নতুনেশ্বরীদেবী অভিযোগকারিণীকে এক সপ্তাহের মধ্যে এক লক্ষ টাকা জরিমানা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তার মধ্যে ৮০ হাজার পাবেন অভিযোগমুক্ত যুবক। বাকি টাকা মণিপুর বার এ্যাসোসিয়েশনের কাছে জমা হবে। অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দেন নতুনেশ্বরীদেবী।