লাদাখের পোলো ময়দানে জমায়েত। ছবি: টুইটার।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নয়, পৃথক রাজ্যের মর্যাদা চাই! এই দাবিতে মুখর হল লেহ্ এবং কার্গিল। বুধবার লাদাখের ওই দু’শহরের একই দাবিতে মিছিল করা হল। মিছিলের দাবি, পৃথক রাজ্যের মর্যাদার পাশাপাশি ওই দুই অঞ্চলের জন্য দু’টি লোকসভা আসন রাখতে হবে। এ ছাড়া, সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে লাদাখকে অন্তর্ভুক্ত করে স্থানীয়দের সাংস্কৃতিক পরিচিতি গড়ে তোলা-সহ এখানকার যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে। কারণ, ২০১৯ সালের অগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের পর জম্মু ও কাশ্মীর থেকে লাদাখকে আলাদা করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে মর্যাদা দেওয়া হলেও সে মোহভঙ্গ হয়েছে।বুধবার কার্গিল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (কেডিএ) এবং কার্গিল-লেহ্ অ্যাপেক্স বডি (এসএবি) নামে দু’টি সংগঠনের আহ্বানের লাদাখে মিছিল করা হয়েছে। মূলত, কার্গিলের রাজনৈতিক-ধর্মীয় দলগুলি মিলেমিশে কেডিএ গঠিত হয়েছে। অন্য দিকে, লেহ্-র রাজনৈতিক সামাজিক-ধর্মীয় দলগুলি একত্র হয়ে এসএবি গড়েছে। মিছিলের এক আহ্বায়ক কেডিএ-র সেরিং দোরজে বলেন, ‘‘পৃথক রাজ্য ছাড়াও ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় সুরক্ষা-সহ রাজ্যসভা ও লোকসভায় আসনের দাবি তুলছি আমরা।’’
মিছিলের আর এক আহ্বায়ক নাসির মুন্সির দাবি, এই প্রথম লেহ্-র সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং কার্গিলের সংখ্যালঘু মুসলিমরা সংঘবদ্ধ হয়ে মিছিলে পা মিলিয়েছেন। নাসিরের মতে, ‘‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা পেলেও স্থানীয়দের স্বার্থরক্ষা হচ্ছে না। তাঁদের মতামত না নিয়ে বহিরাগত আমলারই সমস্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এমনকি, লাদাখের জনপ্রতিনিধির মতামত নেওয়া হচ্ছে না।’’ লাদাখ অটোনমাস হিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল গড়া হলেও তাতে লেহ্ এবং কার্গিলে কার্যত অনাবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ।’’নাসিরের মন্তব্য, ‘‘কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার পর আমরা নিজেদের জমি, চাকরিবাকরি হারিয়েছি। এ বার লেহ্ এবং কার্গিল সংঘবদ্ধ হয়ে দাবি তুলেছে। আমাদের মূল দাবি, পৃথক রাজ্যের মর্যাদা দিতে হবে।’’